শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:০৫ দুপুর
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:০৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আশরাফুল আলম খোকন: সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলে, ফতোয়া দিয়ে নয়

আশরাফুল আলম খোকন: হরেক রকম ফতোয়া আমরা দেখেছি। আর এই ফতোয়ার ব্যবসায় যুগে যুগে বক ধার্মিকরাই ভূমিকা রেখেছে। আর প্রকৃত ধার্মিকরা সত্যিকারের ধর্মটাই পালন করেছেন। ইসলাম ধর্মের শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। ইংরেজি শিক্ষা হারাম এই ফতোয়া দিয়ে জাতিকে শত বছর পিছিয়ে দিয়েছে তারা। এখন তারা ইংরেজিতে বয়ানও দেয়।

নারী শিক্ষা হারাম এই ফতোয়া দিয়ে জাতিকে তারা পশ্চাদপদ করে রেখেছে। এখন মেয়েদের জন্য মাদ্রাসাও তৈরি করে। এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে বেগম রোকেয়ারা দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছে। সহ-শিক্ষাকেও তারা হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছিল। নারী নেতৃত্বকেও তারা হারাম ফতোয়া দিয়েছে আবার বেগম জিয়ার সাথে জোটও করেছে। তাদের কাছে আলতা দেয়া হারাম, লিপস্টিক হারাম, নারী নার্স হারাম, মেয়েদের চাকরি হারাম। ১৮১৮ সালে তারা ফতেয়া দিয়েছিলো ভারতবর্ষ হচ্ছে দারুল হারব। এখানে জুমা ও ঈদের নামাজ হারাম। এমন ফতোয়াও এই ধর্ম ব্যবসায়ীরা দিয়েছিল। পাকিস্তানি হানাদারদের প্রতি তাদের এতোটাই দরদ ছিলো যে ‘যুদ্ধের সময় নারী ধর্ষণ জায়েজ’- এই ফতোয়াও তারা দিয়েছিলো। মহান মুক্তিযুদ্ধে আড়াই লক্ষ মা-বোন তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছিলো। উপ মহাদেশে যখন প্রথম রেল গাড়ি আসে তখন তারা বলছিলো রেলগাড়ি চললে মাটি আজাব পায়। সুতরাং রেল গাড়ি হারাম। এখন তারা রেল গাড়িতে চড়েন না?

শুধু ভাষা দিয়ে গান হয় না। গানের মূল হচ্ছে সুর, তাল, লয়। তারা ফতোয়া দিয়েছিলো গান হারাম। এখন কিন্তু তারা শিল্পীগোষ্ঠী পর্যন্ত বানিয়েছে। যারা সুর, তাল, লয় ধরেই গান করে। সে যে গানই হোক না কেন। বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বেশি ইসলামী গানের স্রষ্ঠা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকেও তারা নাস্তিক ঘোষণা দিয়েছিলো।

ক্যামেরা হারাম, টিভি দেখা হারাম, ভিডিও হারাম, পুরুষ ডাক্তার দেখানো হারাম, জন্মনিয়ন্ত্রণ হারাম, গায়ে হলুদ হারাম, জন্মদিন পালন হারাম, নববর্ষ পালন হারাম- ভাইজানরা হারাম ঘোষণা দিয়ে এখন এর সব কিছুই করেন। তাদের এরকম হারামের তালিকা টানা তিনদিন লিখলেও শেষ হবেনা। সর্বশেষ সংযোজন সোস্যাল মিডিয়া, ইউটিউব, ফেসবুক হারাম। ফতোয়া দিয়ে দেদারছে তারা এসব ব্যবহার করছেন। তাহলে ভাস্কর্য হারাম তাদের এই ফতোয়া আমরা কেন শুনবো। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলে, ফতোয়া দিয়ে কোনো দেশ চলে না।

ঐতিহ্যগতভাবে এই দেশ সকলের। আউল, বাউল, লালনের এই দেশ। পীর,ফকির,আউলিয়াদের এই দেশ। তিতুমীর, সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম, প্রীতিলতার এই দেশ। মসজিদ, মন্দির, গীর্জা,প্যাগোডার এই দেশ। এটা শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। এইখানে সবার সমান অধিকার। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়