রিয়াদ ইসলাম: [২] পাবনা চিনিকল চালু, আখমাড়াই অব্যাহত রাখা, আখচাষিদের পাওনা ও শ্রমিক- কর্মচারীদের বকেয়া বেতন- ভাতা পরিশোধের দাবিতে চতুর্থবারেরমত টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল, পথসমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
[৩] পুর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষি ফেডারেশনের ডাকে সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় অবস্থিত পাবনা চিনিকল এলাকায় এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
[৪] সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে চিনিকলের শ্রমিক- কর্মচারী ও আখচাষি খণ্ডখণ্ড মিছিল নিয়ে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়। এরপর বিক্ষোভ মিছিলটি ৫ মিনিটের জন্য প্রতীকী ঈশ্বরদী- পাবনা মমহাসড়ক অবরোধ করে।
[৫] এসময় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের অনুরোধে মহাসড়কে অবরোধ তুলে দিয়ে পুনরায় কারখানার ফটকের সামনে এসে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সনৎ কুমার সাহার কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও পথসমাবেশ করে।
[৬] পাবনা চিনিকল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান উজ্জল সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, পাবনা চিনিকল আখচাষি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী ডিলু প্রমুখ।
[৭] বক্তারা পাবনা চিনিকল বন্ধের জন্য চিনি শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সনদ কুমার শাহকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরে তা তদন্তের দাবি জানান। একইসংগে পাবনা চিনিকল মাড়াই কার্যক্রম চালু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দাবি জানান। অন্যথায় আন্দোলন আরও কঠোর হবে বলে ঘোষণা দেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী