শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৩:৫১ রাত
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৩:৫১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১ টাকা কেজি মুলা, তারপরও নেই ক্রেতা!

ডেস্ক রিপোর্ট: গাইবান্ধায় ১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মুলা। তারপরেও ক্রেতা পাচ্ছেন না চাষিরা।

পাশাপাশি কমছে অন্য সবজির দামও।
জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে স্থান সংকুলান না হওয়ায় পাশের একটি মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে মুলার হাট। বিশাল মাঠ ভরে গেছে মুলায়। আমদানি বেশি হওয়ায় দাম নেই মুলার। এত কম দামেও হাটে মুলা এনে বিক্রি করতে পারছেন না অনেক মুলা চাষি।

স্থানীয় মূলা ব্যবসায়ী মোতাহার হোসেন ও জহুরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ধাপেরহাটে প্রতি মণ মুলা প্রকার ভেদে ৪০-৬০ টাকা মণ দরে ক্রয় করছি। হাটে প্রচুর মুলার আমদানি হয়েছে। তাই দাম কম। এসব মুলা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে।

উপজেলা গোপিনাথপুর গ্রামের লঙ্কর মিয়া জানান, শুরুর দিকে আশানুরুপ দাম পেলেও মুলার বাজারমূল্যে দ্রুত ধস নেমেছে। ৪০ টাকা মণ দরে মুলা বিক্রি করলাম। এতে লাভতো দূরের কথা খরচও উঠছে না।

এদিকে, এক টাকা দরে মুলা বিক্রি হলেও অনেক চাষীকে হাটের মুলা নিয়ে এসে ক্রেতা অভাবে বসে থাকতে দেখা গেছে।

উপজেলার চকনদী গ্রামের মুলা চাষি লিটন জানান, সকালে মুলা নিয়ে হাটে এসে ক্রেতা অভাবে বাসে আছি। কেউ দামই করছে না।

উপজেলা নিজপাড়া গ্রামের মুলা চাষি ষাটোর্ধ তছির উদ্দিন জানান, হাটে মুলা নিয়ে এসে বিপদে পড়েছি। এক টাকা দরেও মুলা বিক্রি করতে পারছি না।

অপরদিকে, হাট ঘুরে দেখা যায় অন্য সবজির দামও কম। পাশ্ববর্তী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কাবিলপুর এলাকার ফুলকপি চাষি শামিম মিয়া জানান, প্রতি মণ ফুলকপি ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গেল সপ্তাহে প্রতি মণ ফুলকপি এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

হাটে আসা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বেগুন চাষি পরিমণ জানান, প্রতিমণ বেগুন ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গেল সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ১৫শ’ থেকে ১৬শ’ টাকায়।

ধাপেরহাট হিঙ্গারপাড়া গ্রামের সিমচাষি ফারুক মিয়া জানান, প্রতিমণ সিম ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সিম বিক্রি করেছি ১৩শ’ থেকে ১৪শ’ টাকায়। এছাড়াও অন্য সবজি আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমছে দামও।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, বন্যার পর চাষিরা এক সঙ্গে সবজি চাষ করেছে। ফলও ভাল হওয়ায় হাট-বাজারে আমদানিও বেশি। তাই দাম দ্রুত কমে যাচ্ছে।বাংলানিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়