সুলতান মির্জা: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে এই দেশের এক শ্রেণির ধর্ম ব্যবসায়ী মৌলবাদী জঙ্গি উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের মদদ দাতা ৯৪ জন স্বাক্ষরিত একটি ফতোয়া জারি করেছে, যদিও ফতোয়ার বিষয়াদী নিয়ে আলোচনার কিছু নেই, তারপরেও বাংলাদেশের ফতোয়া দেওয়ার বিধান, নিয়ম ও আইনগত কিছু বিষয় জানিয়ে দেওয়া প্রয়োজন...। যা ২০১১ সালের ১২ মে তৎকালীন বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ বিচারকের বেঞ্চ ফতোয়া সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত রায়ে প্রকাশ হয়েছে...। প্রথম থেকে শুরু না করে নিচে থেকেই লিখে দিলাম...।
[৪] তবে ওই নির্দিষ্ট ফতোয়াটি (যা হাইকোর্ট অবৈধ বলেছেন) অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হলো।
[৩] ফতোয়ার নামে কোনো প্রকার শাস্তি, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না।
[২] কোনো ব্যক্তির দেশে প্রচলিত আইন দ্বারা স্বীকৃত অধিকার, সম্মান বা মর্যাদা ক্ষুন্ন বা প্রভাবিত করে, এমন ফতোয়া কেউ প্রদান করতে পারবে না।
[১] ধর্মীয় বিষয়ে যথাযথ শিক্ষিত ব্যক্তিরা শুধু ধর্মীয় বিষয় সম্পর্কে ফতোয়া দিতে পারবেন। এই ফতোয়া স্বেচ্ছায় গৃহীত হতে হবে। ফতোয়া মানতে কাউকে বাধ্য করা, জোর করা কিংবা অনুচিত প্রভাব প্রয়োগ করা যাবে না। আশা করি ভাস্কর্য নিয়ে ব্যস্ত ধর্মব্যবসায়ী, উগ্রবাদী, মৌলবাদী, ধর্মীয় সন্ত্রাসের মদদদাতা এবং তাদের ভক্ত সমর্থকেরা বুঝে নিতে পারবে, ফতোয়া সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ে এটাই ফতোয়া জারির শেষেই ফতোয়াটি অবৈধ ও অকার্যকর হিসেবে ঘোষিত হলো। ধন্যবাদ। ফেসবুক থেকে