মনির হোসেন: [২] লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পাক-হানাদার মুক্ত দিবস আজ শুক্রবার ৪ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালে এ দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় পর্যুদস্ত পাক-হানাদার বাহিনী রামগঞ্জ থানা ত্যাগ করে, তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মহকুমা শহর হয়ে নোয়াখালী জেলা মাইজদী শহর অভিমুখে চলে যায়।
[৩] এ দিন পাক-হানাদারের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলসামস বাহিনীদেরকে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের চারদিক ঘিরে জিম্মি করে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধারা থানা এলাকায় প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ডে জয় বাংলাদেশ, বাংলাদেশের জয় শ্লোগান তোলে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র সংযুক্ত লাল সবুজ পতাকা উত্তোলন করে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। ৪ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫ দিন ব্যাপী মুক্তিযোদ্ধারা রামগঞ্জ শহরে জিম্মি হয়ে পড়া রাজাকারদের সাথে তুমুল যুদ্ধ করে রামগঞ্জকে মুক্ত করে। এ ব্যাপারে রামগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি সালেহ আহম্মদ পাটওয়ারী জানান, ১৯৭১ সালে তৎকালীন সুবেদার তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে রামগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা ছিল তৎপর। এই মুক্তিযুদ্ধে রামগঞ্জ থানার ৩৬ জন মুক্তিযুদ্ধা ও অগনিত নিরিহ জনগন শহীদ হন।
[৪] এক পর্যায়ে রামগঞ্জে ৪ ডিসেম্বর ও ১৬ ডিসেম্বর দেশ ব্যাপী হানাদার মুক্ত, বিজয় দিবস ঘোষণা করা হলেও রামগঞ্জ থানা শহর ছিল হানাদার দোসর রাজাকারদের দখলে। ১৯ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে জিম্মি হয়ে থাকা রাজাকাররা এক এক করে আত্মসমর্পন করার পর রামগঞ্জ মুক্ত হয়।