শিমুল মাহমুদ: [২] দেশে জিয়াউর রহমানের অন্তত চারটি ভাস্কর্য রয়েছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ বিতর্কে নিশ্চুপ বিএনপি।
[৩] সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের চাঁদা দিয়ে ২০১০ সালের ১৬ মার্চ গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে নির্মিত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম ভাস্কর্য।
[৪] বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের আগেই ১৯৯৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জিয়াউর রহমানের প্রথম ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। তার ভাস্কর্য আরও রয়েছে খাগড়াছড়ি শহর, বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে।
[৫] ভাস্কর্য নিয়ে ক’দিন ধরে তুমুল যে বাদ-প্রতিবাদ, সেই স্রোত থেকে খুব সতর্কভাবেই গা বাঁচিয়ে চলছে বিএনপি। জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। সময় হলেই ভাস্কর্য ইস্যুতে বিএনপি তাদের অবস্থান পরিষ্কার করবে।’
[৬] স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে আলোচনার পরই মন্তব্য করা ভালো।’
[৭] ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ভাস্কর্য, মূর্তি কিংবা ইসলামিক মূল্যবোধের থেকেও এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। স্বৈরতন্ত্র আর গণতন্ত্র কখনও একসঙ্গে যায় না।
[৮] দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন,‘শেখ মুজিবের ভাস্কর্যও তো অনেক আগে থেকেই আছে। এর আগে এরকম বিরোধিতা আর কখনো হয়নি। সরকার উস্কে দিচ্ছে এসব দলকে।’
[৯] গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিষয়ে বিএনপি এখনও কোনও কথা বলছে না। তাদের পরিষ্কার বলা উচিৎ, ভাস্কর্য আছে থাকবে। যে ধর্মীয় দলগুলো এ বির্তকের সৃষ্টি করছে, তাদের বলতে হবে; তোমরা ইসলামকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছো। আলেমদেরও নৈতিক দায়িত্ব হবে এ বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :