জেরিন আহমেদ : [২] যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কোনো একটি টিকাকে নিরাপদ বলে অনুমোদন দিলেই ওই টিকা স্বেচ্ছায় নিজেদের শরীরে নেবেন দেশটির সাবেক তিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বিল ক্লিনটন।
[৩] করোনার টিকা নিয়ে জনগণের যেকোন ধরনের আতঙ্ক বা ভয় দূর করতে তাদের টিকা নেয়ার দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে দেখানো হবে। সিএনএন
[৪] জর্জ ডব্লিউ বুশের চিফ অব স্টাফ ফ্রেডি ফোর্ড সিএনএনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এরই মধ্যে সাক্ষাত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিসের পরিচালক ড. অ্যান্থনি ফাউচি, হোয়াইট হাউজের করোনা ভাইরাস বিষয়ক সমন্বয়কারী ড. ডেবোরাহ বিরক্সের সঙ্গে। তাদের কাছে তিনি জানতে চান কিভাবে তিনি দেশবাসীকে টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে পারেন। প্রথমত, যে টিকাই আসুক এটা নিরাপদ হতে হবে এবং তা বেশির ভাগ মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। ফলে নিরাপত্তার মান নিশ্চিত করতে ক্যামেরার সামনে নিজে টিকা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বুশ।
[৫] অন্যদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রেস সেক্রেটারি অ্যানজেল উরেনা বলেছেন, বিল ক্লিনটনও জনসচেতনতা বাড়াতে এই টিকা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অ্যানজেল উরেনা বলেন, আওতার মধ্যে আসামাত্র অবশ্যই টিকা নেবেন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা যে টিকাই অনুমোদন দিন না কেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে, তিনি সেটিই নেবেন। তিনি প্রকাশ্যে এটা নিতে চান, যদি তাতে মার্কিন জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সহায়ক হয় এ জন্য।
[৬] ওদিকে সিরিয়াসএক্সএম উপস্থাপক জো ম্যাডিসনকে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, অ্যান্থনি ফাউচি যদি কোনো করোনা ভাইরাসের টিকাকে নিরাপদ বলে মনে করেন, তিনি তার কথায় বিশ্বাস করবেন। তিনি যদি কোনো টিকাকে নিরাপদ বলেন, এবং সেটা যদি করোনা থেকে রক্ষা করে তাহলে এমন টিকা অবশ্যই আমি নেবো। যেসব মানুষ কম ঝুঁকিতে, যদি বলা হয় এই টিকায় তাদেরও কাজ হবে তাহলে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমি এই টিকা নেবো।
[৭] এ ছাড়া সাবেক আরেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার এই টিকা নেবেন কিনা এ প্রশ্ন করেছিল সিএনএন। তবে তিনি কি উত্তর দিয়েছেন তা সিএনএন স্পষ্ট করেনি। সূত্র : সিএনএন, জেরুজালেম পোস্ট