তপু সরকার: [২] পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে কাজ করার সময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে পরিচয় হয় নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় আখড়াপাড়া গ্রামের মাহিদুল ইসলামের (২৭)। এই সূত্র ধরে প্রায় দেড় বছর আগে দু’জনে ভালোবেসে রেজিস্ট্রিবিহীন বিয়ে করে সেখানে সংসার করেন।
[৩] মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শেরপুরের নালীতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় আখড়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
[৪] সম্প্রতি মাহিদুল গাজীপুর থেকে বাড়ি চলে আসে। গত মঙ্গলবার মাহিদুল তার স্ত্রীকে ফোনে গ্রামের বাড়ি আসার কথা বলে। রাতে বাঘবেড় গ্রামে ভগ্নিপতি রহুল আমীন বাবুর পতিত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মাহিদুল ও তার আপন খালাতো ভাই আব্দুল মালেক ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে বাধা দিলে উভয়ে মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে।
[৫] ভোরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয়রা ভুক্তভোগীকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে পুলিশে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেন। পরামর্শ মতে নির্যাতিত ভুক্তভোগী এলাকা থেকে আসতে চাইলে অভিযুক্ত মালেকের বাবা ইব্রাহিম তার দোকানে আটকে রেখে আপোষের কথা বলে ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা করে।
[৬] খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকেকে উদ্ধার ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকারী ইব্রাহিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত মাহিদুল ও মালেক।
[৭] এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, ভুক্তভোগীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী