শিরোনাম
◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত : ০২ ডিসেম্বর, ২০২০, ০২:৩৪ রাত
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর, ২০২০, ০২:৩৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] প্রেমিককে পাওয়ার জন্য তিন সন্তানের মুখে বিষ তুলে দেন মা!

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: [২] পরকীয়া করতেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের উচাইল-চারিনাও গ্রামের গৃহবধূ ফাহিমা খাতুন। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার তিন সন্তান। প্রেমিককে কাছে পেতে তাই জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে সন্তানদের পান করিয়ে দেন তিনি। শিশু তিনটির মধ্যে একজন মারা গেছে।

[৩] মঙ্গলবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ফাহিমা খাতুন। তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম একজন ইজিবাইক চালক।

[৪] আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান শেষে ফাহিমাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম।

[৫] মঙ্গলবার রাতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রবিউল ইসলাম জানান, একই গ্রামের পাশের বাড়ির আক্তার মিয়ার সঙ্গে পরকীয়া করতেন ফাহিমা খাতুন। একপর্যায়ে তারা ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ফাহিমার তিন সন্তান। ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের দোকান থেকে ফাহিমা ২টি লিচুর জুস কিনে এনে প্রেমিক আক্তার মিয়ার হাতে দেন। আক্তার মিয়া জুসে বিষ মেশান। পরে আক্তার মিয়া ও ফাহিমা খাতুন তিন সন্তানকে উঠান থেকে ডেকে এনে জুস খাওয়ান।

[৬] জুস খাওয়ার পরই বিষক্রিয়ায় ফাহিমার তিন শিশু সন্তান ছটফট করতে থাকে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় তিন শিশুকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৭ বছরের মেয়ে সাথী আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অপর দুই সন্তান তোফাজ্জল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়।

[৭] এরপরই ফাহিমা ও আক্তারের পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় ফাহিমার স্বামী সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে স্ত্রী ফাহিমাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়