শিমুল মাহমুদ: [২] অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাণিজ্য কারসাজি, হুন্ডি ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থ পাচার হচ্ছে। কোনো পণ্যের প্রকৃত মূল্য এক টাকা হলে সেখানে মূল্য দেখানো হচ্ছে ১০ টাকা। অতিরিক্ত এই অর্থ দেশের বাইরে থেকে যায়। পাচার করা টাকা দিয়ে বিদেশে বাড়ি ও সম্পদ ক্রয় করা হচ্ছে অথবা ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য।
[৩] অর্থ পাচার রোধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। [৪] এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, বিদেশে টাকা পাচারের কারণে একদিকে দেশে পুঁজির সংকট দেখা দিয়েছে অন্যদিকে কর্মসংস্থান কমছে।
[৫] তিনি বলেন, আমরা যদি সিরিয়াস হই তাহলে টাকা ফেরত আনার পথ বেশি লাগে না। এখন কথা হচ্ছে, আপনি করবেন কিনা। আইনের কতটা প্রয়োগ হবে, বিষয়টা তার ওপর নির্ভর করছে। [৬] অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এটা কোনো আইনের বিষয় নয়, রাজনৈতিক ইঙ্গিতের বিষয়। রাজনৈতিকভাবে যদি কোনো সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছি না। দৃষ্টান্তমূলকভাবে যদি বড়দের না ধরা হয় তাহলে কোনো উপকারে আসবে না।
[৭] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, যে টাকাটা দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে সেটা যদি দেশে বিনিয়োগ হতো তাহলে কর্মসংস্থান বাড়তো। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব