রাহুল রাজ: [২] সরকার করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামলে উঠার প্রস্তুুতি নিচ্ছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধিতে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন ৬০০ জনের অংশ গ্রহণে জুনিয়র অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করতে যাচ্ছে।
[৩] দুই দিন ব্যাপী এই ক্রীড়া আসরে অংশ নেবেন ৫০০ জন অ্যাথলেটিকস। অফিসিয়ালসহ অন্যান্য কাজে থাকবেন আরো শতাধিক। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০০ জনের উপস্থিতি থাকছে ৩৬তম জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে। সারা দেশের প্রতিটি জেলা, বিভাগ ও শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে অ্যাথলেটরা আসবেন। কিন্তুু করোনা পরীক্ষার সুযোগ নেই তাদের।
[৪] করোনাভাইরাস পরীক্ষা ব্যায়বহুল হওয়াতে খরচ বাঁচাতে এমন ছাড় দেওয়া হয়েছে। অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একেকটি করোনাভাইরাস পরীক্ষায় খরচ পড়বে তিন হাজার টাকা। এতো টাকা দিয়ে করোনভাইরাস পরীক্ষা হলে অনেক দলই আসবে না। তাই পরীক্ষা ছাড়াই সবাইকে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
[৫] আগামি শুক্রবার ও শনিবার ৪ ও ৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্টিত হবে। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা না হলেও স্বাস্থ্য বিধিতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
[৬] সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু বলেছেন, ‘একেকটি করোনা পরীক্ষা করাতে ৩ হাজার টাকা লাগবে। যে কারণে দলগুলোকে আমরা চাপ দেইনি। তাহলে হয়তো অনেক দল আসবে না। অ্যাথলেটদের করোনা পরীক্ষা করা না হলেও সরকারের ও ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস কর্তৃক প্রেরিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানা হবে। অ্যাথলেট, কোচ, ম্যানেজার ও কর্মকর্তাসহ সবাইকে মাস্ক পড়তে হবে, তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে।
[৭] কারো মাস্ক না থাকলে আমরা সরবরাহ করব। হাত ধুতে হবে, হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। আমরা দর্শকদেরও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি না। এবার স্টেডিয়ামের বাইরে মাইকও থাকবে না।’ - প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আপনার মতামত লিখুন :