লাইজুল ইসলাম : কোভিড-১৯ অতিমারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি দিয়ে খুলে দেয়া হয়েছে হোটেল-মোটেল-রেস্তোরাঁ। নিয়ম প্রতিপালন করে নতুন বোর্ডার তোলা শুরু করেন হোটেল মালিকরা। কক্সবাজারের হোটেল ওসান প্যারাডাইসের ম্যানেজার মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাস্টমার ভালো। তবে আমরা প্রতিদিন অনেক বোর্ডার নিতে পারি না। কিছু নিয়ম কানুন মানতে হচ্ছে। হোটেল মোহাম্মাদিয়ার কর্মকর্তা নাঈম হাসান বলেন, আমাদের যা রুম আছে তার অর্ধেক ব্যবহার করতে পারি।
বাকি অর্ধেক খালি রাখতে হয়। হোটেল ওসান প্যারাডাইসের কর্মকর্তারা জানান, একজন বোর্ডার রুম ছাড়ার পর দুই দিন সেই রুম খালি রাখতে হয়। রুমের সব কিছু বিশেষ ধরনের মেশিনের মাধ্যমে পরিস্কার করার পর স্যানেটাইজ করা হয়। বালিশ কম্বল ও বেড সিট সব কিছু ক্লিনিং করতে সময় লাগে। সব মিলিয়ে দুই দিন খালি রাখার পর রুমে বোর্ডার তোলা হয়। হোটেল মোহাম্মাদিয়ার কর্মকর্তা বলেন, একটা বড় সমস্যা রুম স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিস্কার করার লোকবলের সংকট। তারপরও আমরা কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে সরকারি সহায়তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। ধীরে ধীরে প্রশিক্ষিত লোকবল তৈরি হচ্ছে। হোটেল কল্ললের ম্যানেজার মাসুদ বলেন, আমাদের একটি ফ্লোরে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে।
এখানে আমাদের কর্মীরা থাকেন। তবে তারা সংক্রমিত না। যারা ছুটি থেকে আসেন তাদের এখানে ন্যূনতম ৭ থেকে ১৪ দিন রাখা হয়। হোটেল ওসান প্যারাডাইসের ম্যানেজার বলেন, আমরা একটা কর্মীকেও ছাঁটাই করিনি। তাদের সবার বেতন ঠিক মতো দিয়েছি। যদিও আমাদের একটু সমস্যা হয়েছে। বসিয়ে বসিয়ে সবাই বেতন দিতে হয়েছে। এছাড়া, ঈদ ও পূজাসহ অন্যান্য উৎসব ভাতাও দিয়েছি। তবে এক্ষেত্রে অন্যান্য বারের চাইতে কিছুটা কম দিতে হয়েছে।
কয়েকটি হোটেল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কথা বলতে চায়নি। তবে কিছু ছোট হোটেলের কর্মীরা জানান, তাদের ৫০ জন জনবল ছিলো করোনার আগে। আর এখন লোক আছে মাত্র ২০ জন। এমন অনেক হোটেল আছে যারা অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তবে এটা পুরোটাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে। হোটেল কর্মকর্তারা বলেন, আমাদের ব্যবসা আরো ভালো হবে যদি করোনার সংক্রমণ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হয়। কিন্তু চলতি মাসে সংক্রমণ বাড়ছে। ডিসেম্বরে আরও খারাপ হলে আমাদের ব্যবসায় খারাপ হতে পারে। এছাড়া যদি লকডাউন বা সাধারণ ছুটি দেয়া হয় তবে আবার ধস নামবে ব্যবসায়।
আপনার মতামত লিখুন :