শিরোনাম
◈ রিটার্ন না দেওয়া টিআইএনধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের নির্দেশ ◈ সকালে উঠেই এক লিটার পানি পান: কতটা উপকারী? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? ◈ তারেক-জুবাইদার দুর্নীতির মামলায় ‘ত্রুটিপূর্ণ বিচার’, পূর্ণাঙ্গ রায়ে খালাস হাইকোর্টে ◈ বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই তরুণীকে নিয়ে যা বললেন আহমাদুল্লাহ (ভিডিও) ◈ জুলাই স্মরণে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ফের প্রকম্পিত ঢাবি (ভিডিও) ◈ পর্যাপ্ত অর্থ ও হোটেল বুকিং না থাকায় কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ৯৬ বাংলাদেশি আটক ◈ বাড়ির নিচতলায় গ্যারেজে বসে চোখের পানি ফেলছেন, ছেলের বিরুদ্ধে মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ◈ ইংল‌্যা‌ন্ডের লর্ডসে ডুবলো ভার‌তের রণতরী, সিরিজে এ‌গি‌য়ে গে‌লো ইং‌রেজরা ◈ কানাডার টরন্টো শহরে ইসকনের রথযাত্রায় ডিম নিক্ষেপ, ঘটনায় ভারতের গভীর উদ্বেগ (ভিডিও) ◈ একটি দল লম্বা লম্বা কথা বলা ছাড়া সুকৌশলে চাঁদা ও হাদিয়া নেওয়া ছাড়া কোনো কাজ করে না: মির্জা আব্বাস

প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর, ২০২০, ০১:৪১ রাত
আপডেট : ২৭ নভেম্বর, ২০২০, ০১:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কমলগঞ্জে মাটির ঘরের দেয়াল ধ্বসে সর্বহারা দুই বিধবা

স্বপন দেব : [২] স্বামী দিন-মজুর মোঃ রাজা মিয়া ১১ বছর আগে মারা গেছেন। দুই বিধবা বউয়ের তিন ছেলে দুই মেয়ে। মৃত রাজা মিয়ার বড় বউ জাহানারা বেগম সেলাই মেশিনে কাজ করে ও ছোট বউ হালিমা বেগম গৃহিনী। তাদের সব সন্তানই বেকার। সেলাই মেশিনে এলাকার মানুষের কাপড় তৈরি করেই সংসার চলছে কোনও রকম।

[৩] স্বামীর রেখে যাওয়া মাটির দেয়ালের একটি জরাজীর্ন ঘরে বসবাস করে আসছিলেন এই দুই বিধবা নারী। তাদের জীবন চলে পাড়া-প্রতিবেশিদের কাছে হাত পেতে নেয়া চাল-ডালে। শীতের এইদিনে মাটির দেয়ালের বাড়িটি ধসে পড়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌর এলাকার বড়গাছ গ্রামে।

[৪] আলাপকালে দুই বিধবা নারী বলেন, দিনমজুর স্বামী ১১ বছর আগে মারা গেছেন। কিন্তু তারা হতদরিদ্র। এমতাবস্থায় পাড়া-প্রতিবেশিদের কাছে হাত পেতে নেয়া চাল-ডালে খেয়ে না খেয়ে জীবন চলে তাদের। আর সরকারের দেয়া বিধবা ভাতার টাকায় চলে তাদের ওষুধ খরচ। স্বামীর রেখে যাওয়া মাটির দেয়ালের জরাজীর্ণ বাড়িটিই ছিল তাদের মাথা গোঁজার ঠাই। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করে মাটির বাড়িটির দেয়াল ধসে পড়ে। বরাবরের মতো ধসে পড়ার দিনেও তারা ওই বাড়িতেই শুয়েছিলেন। ধসে পড়া মাটির ঘরে কিভাবে থাকবেন জানেন না তারা। একটি ঘরের জন্য অনেকবার আবেদন করেও কপালে তা জুটেনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা বসবাস উপযোগী ঘরের দাবি তাদের।

[৫] স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল হোসেন বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ঘর দেখে এসেছি। তাদের ঘরের জন্য অনেকবার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে আবেদন করিয়েছি। কিন্তু কোন ব্যবস্থা হয়নি।

[৬] এ বিষয়ে কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘বিধবা নারীদের দেয়াল ভাঙা ঘর পরিদর্শন করে এসেছি। সরকারীভাবে যাতে তারা ঘর পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ সম্পাদনা: জেরনি আহমেদ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়