আজহারুল হক: [২] ময়মনসিংহে ধোবাউড়ায় প্রতিবেশি এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ছয় বছর বয়সি এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। স্পর্শকাতর এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা এক লাখ টাকায় বিষয়টি ফয়সালার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে আ.লীগ নেতা আশরাফ সাঈদি মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে।
[৩] গ্রেপ্তার হওয়া মামুনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে বলে জানায় ধোবাউড়া থানা পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার বিকালে নির্যাতিত শিশুটির বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ সাঈদি মামুন, প্রতিবেশি রহম আলীসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে মামুনকে গ্রেপ্তার করে। পরে বুধবার দুপুরে তাকে ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
[৪] থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ নভেম্বর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক রহম আলী (৫৬) প্রতিবেশি ওই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনা মীমাংসায় এগিয়ে আসেন উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ সাঈদি মামুন।
[৫] তিনি শিশুটির পরিবারকে আইনি সহায়তা না নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবং অভিযুক্ত রহম আলীর কাছে ১ লাখ টাকা চেয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার কথা বলেন। কিন্তু রহম আলী টাকা জোগাড় করতে না পারায় বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজনের পরামর্শে মঙ্গলবার বিকেলে নির্যাতিত শিশুটির বাবা ধোবাউড়া থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
[৬] ধোবাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. চাঁদ মিয়া বলেন, শিশু ধর্ষণচেষ্টার ঘটনাটি এক লাখ টাকায় নিষ্পত্তি করার অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী