লাইজুল ইসলাম: [২] জমির দাম বেড়ে যাওয়া, আনুষঙ্গিক কিছু ব্যয় হ্রাস এবং প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাবসহ ছয় কারণে ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী’ স্থাপন প্রকল্পে সংশোধনী এনেছে সরকার। সংশোধিত প্রকল্পটি ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় অনুমোদন করা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
[৩] পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রকল্পটি দেশের তাঁতীদের কল্যাণে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহের প্রকল্প এটি। সেসব কারণেই প্রকল্পের কাজে কিছু সংযোজন বিয়োজন করে সংশোধিতভাবে একনেকের অনুমোদন পেয়েছে।
[৪] পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় জমি অধিগ্রহণ করা হবে ১১৯ দশমিক ৭৩ একর। সেমিপাকা আনসার ব্যারাক নির্মাণ করা হবে ১৭৭ দশমিক ৪৪ বর্গমিটার দৈর্ঘের। ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৪ দশমিক ৭৮ ঘন মিটার জমির উন্নয়ন করা হবে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে ২ হাজার ৯৯৮ দশমিক ৫২ রানিং মিটার দৈর্ঘ্য। প্রকল্পের ব্যবহারের জন্য একটি জিপ গাড়ি কেনা হবে। এ ছাড়াও প্রকল্পের জন্য আসবাবপত্র, কম্পিউটার ও অন্যান্য অফিস সরঞ্জামাদি কেনা হবে।
[৫] পরিকল্পনা কমিশন মনে করে ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিপুল সংখ্যক জনগণের কর্মসংস্থান হবে। তাঁত বস্ত্রের উৎপাদনও বাড়বে।
[৬] পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডকে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :