ডেস্ক রিপোর্ট: নিয়মহীন খাওয়া-দাওয়া, ভুল খাবারে পেট ভরানো, কম পরিশ্রম, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব- এসব কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে হয়। এ অবস্থায় আপনি হয়তো ডায়েটের পথ বেছে নিয়েছেন। বলতে গেলে খাওয়া দাওয়া ছেড়েই দিয়েছেন। তবে ওজন কমাতে গিয়ে তো আর অসুস্থ হয়ে পড়া চলবে না। তাই সঠিক পরিমাণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার রাখুন ডায়েটে। পূর্বপশ্চিম
তবে ওজন না কমার অনেক বড় কারণ ক্ষুধার যন্ত্রণা। ক্ষুধা নিবারণে বারবারই আপনি কিছু না কিছু খাচ্ছেন। এতে অসময়ে খাবার খেয়ে আপনার শরীরের ওজন বেড়েই চলেছে। ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে মেনে চলুন এসব উপায়-
পর্যাপ্ত ঘুম খেয়াল রাখুন ঘুমের দিকে। পর্যাপ্ত ঘুম ক্ষুধা কমাতে সহায়তা করে। কারণ ঘুম কম হলে ক্ষুধা বেশি পায়। তখন মুখরোচক সব খাবার খেতে ইচ্ছে করে।
মানসিক চাপ কমান মানসিক চাপও অনেক সময় ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। কারণ তখন খাওয়ার রুচি ঠিকভাবে কাজ করে না। আর তাই মানসিক কোনো চাপে থাকলে নিজের কোনো পছন্দের কাজ করুন। আড্ডা দিন। খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক হোন।
মিষ্টি খাবার খান পুষ্টিবিদদের মতে, কোনো খাবারের বদলে কি খাবেন তা জানা খুব জরুরি। যেমন খুব মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে। সেই সময় যদি পানি পান করেন তাতে কিন্তু সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সেই সময় যদি একটু মিষ্টি খান তাহলে মস্তিষ্কের উদ্দীপনা কমবে আর শরীরও ভালো থাকবে। যে কারণ মাঝে মধ্যে কিছুটা মিষ্টি সুগারের রোগীদেরও খেতে বলা হয়।
বাদাম খেতে পারেন ক্ষুধা লাগলে চিপস বা এই জাতীয় খাবারগুলোই খাওয়া হয় বেশি। তবে চিপসের পরিবর্তে কাজুবাদাম বা আখরোট খেতে পারেন। বড়জোর পপকর্ন খাওয়া যেতে পারে। তবে চিপস, কোমল পানীয় বা চানাচুর এসব খাওয়া একেবারেই ঠিক হবে না।
চকলেট খেতে পারেন চকলেট খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে মিল্ক চকলেটের বদলে খান ৭০ শতাংশ ডার্ক চকলেট। আমন্ড চকলেট খেতে পারলে বেশি ভালো।
ফল খান পেস্ট্রির বদলে ফল খান। চাইলে ড্রাই ফ্রুটসও খেতে পারেন। প্রয়োজনে ফলের রস খান। এড়িয়ে চলুন অস্বাস্থ্যকর খাবার। হাতের কাছে শুকনো মুড়ি, ফল, বিস্কুট রাখুন। ক্ষুধা পেলে তাই খান। ফলের রস, পানি এসব পান করুন। পেট ভরা থাকলে অন্য কিছু খেতে ইচ্ছে করবে না। কাজ ছাড়া অলস বসে থাকবেন না। অলস সময় কাটালে ক্ষুধা বেশি পাবে।