ডেস্ক রিপোর্ট: এবার দাম বেশি, আবহাওয়াও অনুকূলে। তাই রবি মৌসুম শুরু হতে না হতেই লাভের আশায় আগেভাগে আলুর আবাদে নেমে পড়েছেন কুড়িগ্রামের কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা। কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় চলতি মৌসুমে আলুর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।সময়টিভি
কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, সব উপজেলাতেই পুরোদমে চলছে আলু আবাদের প্রস্তুতি। জমি তৈরি করে ডায়মন্ড, গ্রানুলা, স্টারিস ও কার্ডিনাল জাতের বীজ আলু কেটে প্রস্তুত করার পর রোপণ করা হচ্ছে। চলছে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধে কীটনাশক স্প্রেও। পুরোপুরি ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও বাণিজ্যিকভাবে আলু আবাদকারী ব্যবসায়ীরা।
একজন চাষি জানান, এবার যে আলুর দাম বেড়েছে। তা তো আমরা ভাবতেই পারিনি। তাই এবার বেশি করে আলু চাষ করছি। যেন, সামনের বছর লাভ করতে পারি। আরেকজন জানালেন, তিনি ২ বিঘা জমিতে আলু চাষ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় একটু আগেই চাষবাদ শুরু করেছেন বলেও জানান তারা।
এ অবস্থায় আলু আবাদকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মল্লিকা সেহানবীশ।
জেলায় এবার সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অক্টোবরে শুরুর দিকে হঠাৎ পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকে আলুর বাজার। প্রতি কেজি আলুর দাম ৫০ টাকা পার হয়ে যায়। এ অবস্থায় আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ২০ অক্টোবর বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে আলুর দাম পুনর্র্নিধারণ করে কৃষি বিপণন অধিদফতর। ওই দিন খুচরা পর্যায়ে এক কেজি আলুর দাম ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর আগে ৭ অক্টোবর প্রতি কেজি আলুর খুচরামূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল ৩০ টাকা। একই দিন পাইকারি পর্যায়ে আলুর দাম ২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা আর হিমাগার পর্যায়ে ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ টাকা করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :