জিএম মিজান: [২] বগুড়া শহরের কানছগাড়ী এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হাফেজ সিরাজুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবককে অপহরণ করে নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার একটি শ্মশান ঘাটে হাত-পা বেঁধে তাকে হত্যার চেষ্টা করে।
[৩] শনিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার পূর্বকুচাইকুড়ি শ্মশান ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী হাফেজ সিরাজুল ইসলাম বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার শালিখা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাবলু বেপারীর ছেলে। সে বগুড়া শহরের কানছগাড়ী এলাকার ফাতেমা ফিজিওথেরাপী সেন্টারে ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত আছে।
[৪] জানা যায়, বগুড়া শহরের কানছগাড়ী এলাকার ফাতেমা ফিজিওথেরাপী সেন্টারে থেকে শনিবার বিকেল ৪টায় হাফেজ সিরাজুল ইসলাম বাহিরে বের হয়। সে সময় অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তি নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে আটক করে সিএনজি চালিত অটো রিকশায় উঠায়। সেখান থেকে নাটোর রোডের শাকপালা এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নন্দীগ্রাম পৌরসভার পূর্বকুচাইকুড়ি শ্মশান ঘাটে নিয়ে আসে। পরে তার হাত-পা বেঁধে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় সিরাজুলের চিৎকার শুনে শ্মশানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া লোকজন এগিয়ে এলে অজ্ঞাত তিন ব্যক্তি পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল গিয়ে সিরাজুল ইসলামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
[৫] নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রশিদ এ প্রতিবেদককে বলেন, উদ্ধারকৃত হাফেজ সিরাজুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি