কামাল হোসেন: [২] রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার জামতলা থেকে অন্তারমোড় পর্যন্ত বেরি বাঁধের ৬ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ আর বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে খোয়া ফেলে সংস্কার করা হলেও সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলেই বড় বড় গর্তে পানি জমে সড়ক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়।
[৩] এ আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে দৌলতদিয়া থেকে রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত সহজতর হওয়ায় ছোট ছোট পণ্যবাহী, যাত্রীবাহী যানবাহন ও মানুষের চলাচল বেশি।
[৪] স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা দিয়ে বালি ভর্তি ট্রাক ও ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে যানবাহন তো দূরের কথা মানুষেরও হেঁটে চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে।
[৫] যানবাহন চালকরা জানান, সহজে চলাচলের জন্য রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চরম ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। যানবাহনের যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে পড়ছে। খানাখন্দের কারণে সময় ও তেল খরচও বেশি লাগে।
[৬] রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, রাস্তাটি গোয়ালন্দের জামতলা থেকে পাংশার হাবাসপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার। জামতলা থেকে সদর উপজেলার মৌলভী ঘাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তার প্রসস্তকরণ কাজে ৩১ কোটি টাকা প্রাক্কালিত ব্যয় ধরা হয়েছে। ১২ ফুটের রাস্তাটি ১৮ ফুটে উন্নীত করার কাজ চলমান রয়েছে। বাকি ৩৬ কিলোমিটার বিভাগীয় মেরামত কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য নতুন একটি প্রকল্প প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। সম্পাদনা: সিরাজুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :