সোহাগ হাসান : [২] ৫ বারের দীর্ঘ মেয়াদী বন্যায় ক্ষতি হওয়ার পরও কৃষি বিভাগ মনে করছে, জেলায় রোপা-আমন মৌসুমে যে পরিমাণ আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, তাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন কৃষকরা।
[৩] শস্য ভান্ডারখ্যাত চলনবিলসহ সিরাজগঞ্জ জেলায় চলতি মৌসুমে ফসলের মাঠজুড়ে এখন সোনালি স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। কৃষকের স্বপ্নের রোপা-আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। সাধারণ শ্রমিকদের পাশাপাশি চলনবিলে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর নারী-পুরুষেরা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে মাঠে মাঠে ধান কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
[৪] গত ১৭ দিনে প্রায় ২০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। শ্রমিক সংকট না হলে আগামী মাসের মাঝামাঝি জেলার কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছে কৃষি অধিদফতর।
[৫] জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, ৫ বারের বন্যায় জেলার প্রায় ৩ হাজার ৪০৬ হেক্টর জমির আবাদ ক্ষতিগস্ত হয়। জেলার ৯টি উপজেলায় রোপা-আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৬৯ হাজার ২৫০ হেক্টর ধরা হয়।
[৬] কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী বন্যার কারণে লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হয়। শেষ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪০৬ হেক্টর জমিতে রোপা-আমনের চাষাবাদ হয়। বন্যার কারণে জেলার উপজেলাগুলোতে ৮৪৪ হেক্টর জমিতে আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এবার ফলন বেশ ভাল
হয়েছে।
[৭] রায়গঞ্জ উপজেলার বহ্মগাছা গ্রামের কৃষক মালেক বলেন, করতোয়া নদীর পাড়ে পতিত এক বিঘা জমিতে রোপা-আমন লাগানো হয়েছিলো। ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। তবে এবার ধানের দাম গতবারের চেয়ে বেশি।
[৮] উল্লাপাড়া উপজেলার সোনতলা গ্রামের কৃষক রায়হান আলী বলেন, আমাদের এখনও রোপা-আমন কাটা শুরু হয়নি। ১ সপ্তাহ পড়ে কাটা শুরু হবে। এবারের বন্যা হলেও ধানের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, এবার রোপা-আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় ৫ দফা বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে কৃষক।
[৯] সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) আবু হানিফ জানান, এবার পাঁচবারের বন্যার কারনে লক্ষ্যমাত্রার কিছুটা কম আবাদ হয়েছে তারপরও বন্যা ছাড়া ধানের রোগব্যাধি ও অন্য কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হওয়ায় ফলন
ভাল হয়েছে। এতে কৃষকেরা তাদের ক্ষতিপুষিয়ে নিতে পারবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :