ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারক চক্র। যারা স্বল্প মূল্যে দামি গাড়ি দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত বন্দর-কাস্টমসের অসাধু কিছু সদস্য। এরই মধ্যে এই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, ‘বন্দরকেন্দ্রিক একটি প্রতারণা তদন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’ বাংলাদেশ প্রতিদিন
সিএমপির বন্দর জোনের উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ। আশা করছি দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে স্বল্প মূল্যে দামি গাড়ি বের করে দেওয়ার কথা বলে সাধারণ লোকজনকে প্রলুব্ধ করে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। তাদের ফাঁদে কেউ পা দিলে গাড়ি দেখানোর কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয় বন্দরের অভ্যন্তরে। যাওয়ার আগে শর্ত দেয়া হয় গাড়ি যদি পছন্দ হয় তা হলে অগ্রিম কিছু টাকা দিতে হবে। এরপর বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা সদস্যদের সহায়তায় ভিকটিমকে প্রবেশ করানো হয় বন্দরের গাড়ির শেডে। কোনো গাড়ি পছন্দ হলে ক্রেতাকে নিয়ে আসা হয় বাইরে। এরপর কাস্টমস কর্মকর্তা সেজে হাতিয়ে নেওয়া হয় টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দরের গাড়ি প্রতারক চক্রের বিষয়ে এ বছরের শুরুতে একটি গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদন দেয়। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়- চারটি প্রতারক চক্র স্বল্প মূল্যে গাড়ি বের করার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। তারা গাড়ি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ প্রতারক চক্রগুলোর সঙ্গে বাইরের লোকজন ছাড়াও জড়িত কাস্টমস, বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত লোকজন।