রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতে করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমছিল। তাই স্কুলের দরজাও খুলে দেওয়া হয়েছিল। একটু একটু করে ক্লাসও শুরু হচ্ছিল। কিন্তু ফের বিপত্তি। গত দু’সপ্তাহে কম করেও ১৭৪ জন পড়ুয়ার করোনা ধরা পড়েছে। আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। সে সংখ্যাও কম নয়, প্রায় ১০৭ জন। জেলা ও শহরের স্কুল মিলিয়ে পড়ুয়া, শিক্ষকদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় রীতিমতো উদ্বেগে ভারতের এ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। দি ওয়াল
[৩] স্কুল ফের বন্ধ হয়ে গেছে হরিয়ানায়। ভারত সরকারি সূত্রে খবর, আগামী ৩০ নভেম্বর অবধি স্কুল খোলার কোনও প্রশ্নই নেই। প্রয়োজন হলে এই সময়সীমা আরও বাড়ানো হবে। তবে পরিস্থিতি দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
[৪] ৮ মাস বন্ধ থাকার পরে গত ২ অক্টোবর স্কুল চালু হয়েছিল হরিয়ানায়। তবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্যই ক্লাস চালু হয়েছিল। এক সপ্তাহ ক্লাস করার পরেই অনেক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। টেস্টে করোনা ধরা পড়ে। সংক্রমণ ধরা পড়ে শিক্ষকদের মধ্যেও। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের খবর মিলেছে হরিয়ানার তিন জেলা থেকে।
[৫] হরিয়ানার রেওয়ারি জেলার ১৩টি স্কুলে ৯১ জন পড়ুয়া করোনা পজিটিভ। কোভিড আক্রান্ত পড়ুয়াদের খোঁজ মিলেছে অন্যান্য জেলা ও শহরের স্কুলগুলি থেকেও। রাজ্য শিক্ষা দফতর জানাচ্ছে, ৬ লাখ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে দেড় লাখের বেশি নিয়মিত ক্লাসে আসা শুরু করেছিল। ক্লাসে ফেসমাস্ক, স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক ছিল। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখেও পড়ুয়াদের বসানো হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, স্কুলে আসা এবং বাড়ি ফেরার সময় মেলামেশার কারণেই সমক্রমণ ছড়িয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।
[৬] জেলা ও শহরের প্রতিটি স্কুলে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। করোনা পরীক্ষা হচ্ছে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদেরও। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তবেই ফের স্কুল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হরিয়ানার মতো মুম্বাইতেও স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। ৩১ ডিসেম্বর অবধি স্কুল খোলার কোনও সম্ভাবনাই নেই। আগামী বছরের গোড়াতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।