মহসীন কবির : [২] বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ডিবিসি ও সময় টিভি
[৩] আদালতের কাঠগড়ায় তোলার সময় মজনু অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। পুলিশ ও আইনজীবীদর অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও চেঁচামেচি করেন। এ সময় চিৎকার করে মজনু বলেন, আমি ধর্ষণ করি নাই, আমাকে ছেড়ে দাও, আমি বাড়ি যাব। আমাকে ছেড়ে না দিলে লাফ দিয়ে মরে যাব। তিনি আরো বলেন, আমি ধর্ষণ করি নাই, ধর্ষণ করছে চারজন মিলে। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরছে না। আমি গরিব দেখে আমাকে ধরেছে।
[৪] সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ জানান, রায় ঘোষণা হলে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ হবে মাত্র ১৩ কর্মদিবসে। মজনু মামলাটির একমাত্র আসামি।
[৫] এদিকে রায়ে আসামি মজনুর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন মামলার বাদী ও ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা। গত ৫ জানুয়ারি ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। পরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর গত ৮ জানুয়ারি শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে র্যাব ধর্ষণের ঘটনায় মজনুকে গ্রেপ্তার করে।
[৬] গত ৯ জানুয়ারি আদালত মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১৬ জানুয়ারি মজনু দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এ ব্যাপারে মামলার বাদী বলেন, 'আসামি মজনুর সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি। যেহেতু সরকার ধর্ষণের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন করেছে। তাই আসামির মৃত্যুদণ্ড চাই।' তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীর দাবি মজনু মামলা থেকে খালাস পাবেন।