শিরোনাম
◈ পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক ◈ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ◈ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার টু শব্দ করার সাহস পাচ্ছে না: বিএনপি ◈ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয় পুলিশ ও বহুজাতিক নৌবাহিনী ◈ পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ◈ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডিবিতে অভিযোগ করলেন জবি ছাত্রী ◈ ঈদের পর কাওরান বাজার যাবে গাবতলীতে: মেয়র আতিক ◈ আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা কয়লায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই: এস আর শিপিং ◈ পাপেট সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সব নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলবে যুক্তরাষ্ট্র: জয়  ◈ চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে তিন দিন লাগতে পারে: রেল সচিব

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০২০, ০৭:৪৭ সকাল
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০২০, ০৭:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কালো বিড়ালকে অশুভ শক্তির প্রতীক ভাবা হয় কেন? কী ভাবে এল এই কুসংস্কার?

ডেস্ক রিপোর্ট : লৌকিক, অশুভ ও ভৌতিক কোনও কিছুর বিবরণ দিতে হলেই কালো বিড়ালের ব্যবহার হয়ে থাকে৷ বহুদিন ধরেই এই ব্যবহার হয়ে আসছে৷ অনেক প্রখ্যাত লেখকও তাঁদের বিভিন্ন ভৌতিক গল্প বা কাহিনিতে কালো বিড়ালকে বিভীষিকার প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করেছেন। কালো বিড়াল রাস্তা পার করলে এখনও গাড়ি থামিয়ে দেওয়ার প্রচলন রয়েছে৷ কিন্তু কালো বিড়ালকে কেন অশুভ প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয়?

এর পিছনে কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, আসলে পুরো ব্যাপারটাই একটা ভ্রান্ত ধারণার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। বিড়ালের রং কালো হওয়ার সঙ্গে তার অশুভ হওয়ার কোনও সম্পর্কই নেই। পুরোটাই মূলত কুসংস্কার। কিন্তু কালো বিড়াল নিয়ে কী ভাবে দানা বাঁধল এই বিশ্বাস? ৩০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ইজিপ্সিয়ানরা বিশ্বাস করত কালো বিড়ালের মধ্যে কিছু আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে। তারা কালো বিড়ালকে পুজোও করত। কালো বিড়ালকে আঘাত করা বা তাকে মেরে ফেলাকে অশুভ হিসাবে গণ্য করত ইজিপ্সিয়ানরা। কিন্তু পরবর্তীকালে যখন এই বিশ্বাস ইউরোপে আসে তখন তার অর্থ বদলে যায়।

১৫৬০ সালে ইউরোপের বিভিন্ন উপকথায় কালো বিড়ালকে অশুভ হিসাবে দেখানোর চল শুরু হয়। ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে বিশ্বাস জন্মায়, সত্যিই হয়তো কালো বিড়ালের মধ্যে লুকনো অপয়া কোনও শক্তি আছে। অনেক সময় গাড়ির সামনে দিয়ে বিড়াল, বিশেষত কালো বিড়াল চলে গেলে গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হয়। অনেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে আসেন। কেউ আবার গাড়ির কাচে ক্রস চিহ্ন আঁকেন। কী ভাবে এল এই কুসংস্কার? মনে করা হয়, আগেকার দিনে যখন গরুতে গাড়ি টানত তখন কালো বিড়াল রাস্তা পার করলে গরুদের মধ্যে একটা অস্থির ভাব লক্ষ্য করা যেত। সেই সময় গোরুদের শান্ত করতেই কিছু ক্ষণের জন্য গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হত। পরে সেই রেওয়াজ কুসংস্কারে পরিণত হয়।

 

কালো বিড়াল নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। সমাজে এমন ধারণা প্রচলিত যে, কোনও শুভ কাজে যাত্রা করার সময় যাত্রাপথে কালো বিড়ালের দেখা পেলে তা এক অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। এই কুসংস্কার এতটাই মানুষের মনে প্রোথিত যে অনেকে গন্তব্যস্থলে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান, অথবা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার যাত্রা শুরু করেন। এতে নাকি দোষ ‘কাটা’ যায়। আবার কেউ কেউ কালো বিড়ালকে অতিলৌকিক জগতের প্রতিনিধি বলে মনে করেন।

তবে যুক্তিবাদীদের বক্তব্য, কুসংস্কার নয়। বিড়ালের রাস্তা কাটা এবং গাড়ি থামিয়ে দেওয়ার মধ্যে যুক্তি রয়েছে সামাজিক। তাঁদের বক্তব্য, রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার অথবা হেঁটে যাওয়ার সময় কোনও বিড়াল রাস্তা পার হলে, তখন গাড়ি বা মানুষ দাঁড়িয়ে পড়ে। তার প্রকৃত কারণ হিসেবে ধরা হয় যে, সাধারণত, বিড়াল জাতীয় প্রাণীদের অন্য বড় আকৃতির পশুরা তাড়া করে। সেক্ষেত্রে বিড়ালকে দেখার পর একটু দাঁড়িয়ে গেলেই ভালো হয়। তাহলে বিপদের সম্ভাবনা কম থাকে। এ ছাড়া যুক্তিবাদীদের মতে, সাধারণত কালো রঙকে অশুভ প্রতীক হিসাবে হিন্দু ধর্মে গণ্য করা হয়৷ সেই কুসংস্কার থেকেই কালো বিড়ালকেও অশুভ শক্তির প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয় আমাদের সমাজে।
সূত্র- এইসময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়