রাজু চৌধুরী : [২] বুধবার (১৮ নভেম্বর) সিএমপি কোতোয়ালী থানায় বিস্তারিত জানান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ।
[৩] তিনি জানান মঙ্গলবার তিনটি পৃথক ঘটনার প্রেক্ষিতে রাতভর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাই চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাকিবুল হাসান রাকিব (২৫), তার সহযোগী রুপা প্রকাশ নিপা (২০) ও মো. আলাউদ্দিন। অপর একটি গ্রপের মো. রুবেল (২৮) ও তার স্ত্রী ফারজানা বেগম (২৬), সহযোগী রাজু প্রকাশ সুমন (২৩), মো. আলামিন (২৮) ও আব্দুল নাইম (২০)। এছাড়া একটি কিশোর ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা হলো শফিক (১৬), মো. দেলোয়ার (১৭), মো. উজ্জল (১৩), মো. ইসহাক (১৯) ও অপু প্রকাশ হৃদয় (১৪)। তাদের কাছ থেকে ১৪টি মোবাইল ফোন, ৩টি কাটার ব্লেড ও ৬টি ধারালো ছোড়া উদ্ধার করা হয়।
[৪] এসি (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা বলেন, আটককৃত ছিনতাইকারীরা কৌশলে নারীকে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ছিনতাই করে, শরীরে স্পর্শ হওয়ার নাম করে পথচারীকে বিভ্রান্ত করে তোলে, তাদের এই কৌশলে অনেক সময় পথচারীরাও ছিনতাইকারী ধরতে এগিয়ে আসেন না।
[৫] কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় নগরের গনি বেকারি মোড়ে ছিনতাইয়ের শিকার হন অরবিন্দু দত্ত নামে এক ব্যক্তি। এ সময় ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
[৬] পরবর্তীতে রাত ৮টার দিকে নগরের চকবাজারের সার্সন রোড দিয়ে যাওয়ার সময় মো. সেলিম নামে আরও এক ব্যক্তি ছিনতাইয়ের শিকার হন। এ ঘটনাতেও ভুক্তভোগীর বুক, পেট ও উরুতে ছোড়া দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে ছিনতাইকারীরা।
[৭] ওসি মহসীন আরও বলেন, এ দুটি ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ করা হলে ঘটনা তদন্তে নামে পুলিশ। তথ্য-প্রযক্তির সাহায্যে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন ক্রয়কারী শনাক্তের পর প্রথমে নগরের সিরাজউদ্দৌলা রোড থেকে রুবেল ও তার স্ত্রী ফারজানা বেগমকে এবং তাদের দলের আরও তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৮] পরে আন্দরকিল্লা রাজাপুকুর লেন থেকে পাঁচ কিশোর ছিনতাকারীকে আটক করার পর রাতে ৮টার দিকে নগরের চকবাজারের সার্সন রোডে ছিনতাইয়ের শিকার হন মো. সেলিম। এ ঘটনায় বিচলিত হয় পুলিশ। এই ঘটনায় ও তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে স্টেশন রোড থেকে ছিনতাইকারী রাকিব ও নিপাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।