দেবদুলাল মুন্না:[২] ভারতে প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিন আগামীকাল। এ উপলক্ষ্যে আজ এনডিটিভিতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে।অনুষ্ঠানে পুপুল জয়াকারের মেয়ে রোমিলা জয়াকার এসব তথ্য জানান। ইন্দিরার জীবনীকারদের মধ্যে একজন হচ্ছেন পুপুল জয়াকার। তিনি ক্যাথেরিন ফ্রাংকের সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধীর জীবনী লিখেছেন।
[২] রোমিলা জানান, পুপুল ও ফ্রাংক লিখেছেন, ১৯৬৪ সালে ইন্দিরা লন্ডন সফরের সময়ই জানতে পারেন বড় ছেলে রাজীব সোনিয়া মাইনো নামে এক ইতালীয় মেয়েকে ভালোবাসে। ১৯৬৮ সালে রাজীবের সঙ্গে সোনিয়ার বিয়ে হয়।
[৩] ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা যখন জানলেন, তিনি শিখ সেনা কর্মকর্তার মেয়ে মানেকাকে বিয়ে করতে চান, তখন তিনি মুষড়ে পড়েন। বিয়ের পর ১৭ বছর বয়সী মানেকা প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আসেন। শুরু থেকে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে মানেকার খটমট লেগে ছিল।
[৪] সঞ্জয়ের মৃত্যুর পাঁচ দিন পর ২৮ জুন মানেকা হিন্দুস্তান টাইমস-এ নিজের নামে কলাম লেখেন। এই লেখাও মানেকা ও ইন্দিরার মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে। তাঁর মন্তব্য ছিল ‘বাঘের পিঠে দুর্গা উঠেছে’। ইন্দিরা একপর্যায়ে মানেকাকে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি সোনিয়াকে হতাশ করে। এ নিয়ে শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মধ্যে চিঠি চালাচালি হয়। ইন্দিরা উপলব্ধি করলেন, রাজীব ও সোনিয়াকে তাঁর দরকার। তিনি মানেকাকে দেওয়া প্রস্তাব ফিরিয়ে নেন।