শরীফ শাওন: [২] ১ম থেকে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করার করার ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পাঠদান ও মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হলেও প্রাথমিকে সিলেবাস করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
[৩] প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মো. মনছুরুল আলম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে কার্যক্রম চলমান আছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া এ বিষয়ে বলা যাচ্ছে না।
[৪] অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম বলেন, ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় নেই। তবে টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রয়েছে।
[৫] জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্র জানায়, প্রাইমারিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক বেশি, আর্থিক সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস থেকে বাদ পড়তে পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পাঠদান এবং মূল্যায়ন নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়। তবে স্ব স্ব বিদ্যালয় থেকে মূল্যায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
[৬] মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস চালু হয়েছে, ইতোমধ্যে তিন সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বাস্তবায়ন হয়েছে। বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাচ্ছি, সকলেই আশানুরুপ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে মূল্যায়ন ব্যবস্থা নিয়ে কোন জটিলতা তৈরি হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :