এম আবুল হাসনাৎ মিল্টন: মাঝে মধ্যেই এরকম শুনছি। অমুকের এক সেন্টারে করোনা পজেটিভ আসছে, পরের দিন আরেক সেন্টারে করোনা নেগেটিভ আসছে। কোনটা তাহলে সত্য? ল্যাবরেটরিতে সাধারণত আরটি-পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে মানবদেহে নভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। অত্যাধুনিক এই টেস্টের সেন্সিটিভিটি শতভাগ নয়, অর্থাৎ কিছু ব্যক্তির শরীরে নভেল করোনাভাইরাস থাকলেও টেস্ট রিপোর্টে তা পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে টেস্ট রিপোর্টটা ফলস নেগেটিভ। বাংলাদেশে এই ফলস নেগেটিভের হার সর্বোচ্চ ত্রিশ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে শুনেছি। এ ছাড়া নমুনা ঠিকমতো সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হলো কিনা, তার ওপরও টেস্টের ফলাফল নির্ভর করে। এসব কারণে করোনাক্রান্ত ব্যক্তির টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ হতে পারে। তবে কোনো একটা ল্যাবরেটরিতে টেস্ট পজেটিভ হলে সেটা গুরুত্বের সাথে নেওয়া উচিত।
কারণ এই পদ্ধতিতে ফলস পজেটিভের হার খুবই কম, প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। সুতরাং দুটি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্টের ফলাফল দুরকম হলে মানসম্পন্ন তৃতীয় একটি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা উচিত, কোন দুটোর ফলাফল একই রকম। যদি দেখা যায়, দুই ল্যাবরেটরিতে বলছে নেগেটিভ, তাহলে হয়তো এটাই সত্য। দুটি টেস্টের মধ্যে একটি টেস্ট নেগেটিভ হলেই সেটাকে সত্য মেনে ফ্রি স্টাইল ঘোরাঘুরি করা অনুচিত। বরং একটি টেস্ট পজেটিভ হলেই সেলফ আইসোলেশনে যাওয়া উচিত, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। টেস্ট রেজাল্টের পাশাপাশি ব্যক্তির কাছ থেকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যও সংগ্রহ করতে হবে।
যেমন : তার শরীরে কোভিড-১৯ রোগের মতো কোনো উপসর্গ আছে কিনা। তিনি সম্প্রতি কোনো করোনা পজেটিভ রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন কিনা? কোনো রকম উপসর্গ ছাড়াও করোনা টেস্ট পজেটিভ হতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির মাধ্যমে অন্যরা সংক্রমিত হতে পারেন। আবার টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ, অথচ শরীরে করোনার মতো উপসর্গ আছে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। সতর্ক থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। করোনার সংক্রমণ থেকে নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাঁচান। ফেসবুক থেকে