শাহীন খন্দকার : [২] পাহাড়ের রানি হিসেবে খ্যাত ভারত বর্ষের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ দার্জিলিং। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার উত্তরে সিক্কিম রাজ্য, দক্ষিণে বিহার রাজ্য, পূর্বে জলপাইগুড়ি জেলা ও পশ্চিমে নেপাল। কার্শিয়াং, মিরিক ও শিলিগুড়ি হল দার্জিলিং জেলার তিনটি প্রধান শহরের একটি কার্শিয়াং শহর। এখানে বসেই বেশ কিছু কবিতা, গান লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
[৩] সেই কার্শিয়াংয়েরই কিন্তু একটা হাড়হিম করা গল্প চাইলে মানবেন। না চাইলেও এড়িয়ে যেতে পারবেন না। একথা লেখকের নয় কার্শিয়াংয়েরই বাসিন্দাদের। তারা পারেননি এড়িয়ে যেতে। তাই মেনে নিয়েছেন। তাই বুঝে সাবধানে পা ফেলে চলেন তারা। দুপুরের পর ভুলেও পা বাড়ান না কার্শিয়াংয়ে ওই জঙ্গলের দিকে।
[৪] বনবিভাগের অফিস আর পাইন বন এই দুইকে জুড়েছে ছোট্ট ডাও হিল রোড। ওই রাস্তাতেই নাকি ঘুরে বেড়ায় একটি ছেলে। ওর মাথা আবার নেই। রাস্তা ধরে হেঁটে আসে। তার পর মিলিয়ে যায় ঘন অরণ্যে। কোথা থেকে আসে? কোথায় যায়? কেউ জানে না।
[৫] তবে যাঁরা একবার দেখেছেন, ইহজীবনে ভুলতে পারেন না। রোজ রাতে চোখ বুঝলেই দেখতে পান তাকে। সে এক বিভীষিকা। আরও এক জন ঘুরে বেড়ায় এ চত্বরে। সাদা কাপড় পরা এক নারী। অদ্ভুতভাবে ঘুরে বেড়ান সে।
[৬] কী চায়, কাকে চায়? কেউ বোঝে না। দেখা দেয়, মিলিয়ে যায়। আরও এক জন বলাটা ভুল। আসলে এ জঙ্গলে ঘুরলেই কারা যেন পিছু নেয়। অথচ পিছন ফিরলেই মিলিয়ে যায়। স্পষ্ট শোনা যায় পাতার ওপর পায়ে হাটার শব্ধ। তবু ধরা দেয় না।
[৭] আরেক জোড়া লাল চোখ নাকি খুব কাছ থেকে নজর রাখে। সব দেখে চলে। খুটিয়ে খুটিয়ে মেপে চলে সে । জঙ্গলে ঢুকলেই তাই এক রাশ অস্বস্তি এসে চেপে বসে শরীরে। তাই কেউ একটা আর পা বাড়ান না ওদিকে। কোনও সাহসী পর্যটক যেতে চাইলেও বাধা দেন। তবু কেউ কেউ চলে যান। কিন্তু তাঁরা নাকি আর ফেরেন না। যদিও পুলিশের খাতায় এসব ঘটনার উল্লেখ নেই। তাই অনেকেই মানতে চান না।
[৮] এই জঙ্গলেরই কাছাকাছি রয়েছে শতাধিক বছরের পুরনো ভিক্টোরিয়া বয়েজ স্কুল। সেখানেও নাকি চলে আজব সব ঘটনা। ছাত্ররা যখন ছুটিতে বাড়ি যায়, তখনও নাকি তাদের হাসির শব্দ শোনা যায়। ছুটোছুটির শব্দ ভেসে আসে।
[৯] অনেক ছাত্র নাকি মাঝরাতে কিছু একটা দেখেওছে। তবে শিক্ষক, কর্তৃপক্ষ এসব মানেননি। বলেছেন, গল্প শুনে মন গড়ে নেয় ছোট ছেলেরা কি জানি! তাই হবে হয়তো। তথ্য সূত্র আজকাল ওয়েবডেস্ক ।