মনিরুল ইসলাম: [২] মহান স্বাধীনতার স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এক কোটি বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় মুজিববর্ষ-২০২০ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে শুত্রুবার বৃক্ষরোপণ করেন আনোয়ারুল আশরাফ খান এমপি, শিরীন আখতার এমপি, উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, মোঃ নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি, সাগুফতা ইয়াসমিন এমপি, সামছুল আলম দুদু এমপি এবং সেখ সালাহউদ্দিন এমপি ।
[৩] বৃক্ষরোপণ শেষে আনোয়ারুল আশরাফ খান এমপি বলেন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখা। মুজিববর্ষ যেন আগামী প্রজন্মের মধ্যে বেঁচে থাকে এবং চিরকাল বাঙালির হৃদয়ে জেগে থাকে।
[৪] শিরীন আখতার এমপি বলেন, বৃক্ষ মানেই হচ্ছে জীবন, আর মানুষ বেঁচে থাকার শক্তি পায় প্রকৃতির অন্যতম উপাদান বৃক্ষ থেকে। এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সমগ্র জাতির সঞ্জিবনী শক্তি হবে।
[৫] উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি বলেন, আমি কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষরোপণ করেছি। তবে আজকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ করতে পেরে নিজের গর্বের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
[৬] মোঃ নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরেই বৃক্ষরোপণের সাথে জড়িত আছি । বাড়ির ছাদে এবং গ্রামের বাড়িতেও বৃক্ষরোপণ করি ।
[৭] সাগুফতা ইয়াসমিন এমপি বলেন, এদেশকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে, পরিবেশকে বাঁচাতে হলে এবং অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই।
[৮] সামছুল আলম দুদু এমপি বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে আমরা পিছিয়ে আছি সেটাকে মিটানোর জন্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির বিকল্প নেই।
[৯] সেখ সালাহউদ্দিন এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সারা দেশে এককোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তার অংশ হিসেবে আমি সংসদ ভবন চত্বরে একটি বৃক্ষরোপণ করেছি। আমরা এক সময় থাকবো না। তবে আমাদের দ্বারা রোপণকৃত বৃক্ষগুলো আগামী প্রজন্মের জন্য স্বাক্ষী হয়ে থাকবে।
[১০] মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৩৫০ থেকে ৫০০ টি বৃক্ষের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংসদ ভবন চত্বরে গত ২৬ জুলাই তারিখে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি।