বাশার নূরু: [২] প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, জনগণের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে কাজ করে বলেই জনগণ ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দিয়েছে এবং আমাদের দল সরকারে আছে। শুধু তাই নয়, ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্ট, ২০০১ পরবর্তী অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ডের পরও আওয়ামী লীগ টিকে আছে শুধু জনগণের সমর্থনেই।
[৩] তিনি বলেন, ২০০৮ সালের পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের অনেক চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র হয়েছে। জনসমর্থন না থাকলে ষড়যন্ত্র করে হত্যাকাণ্ড ঘটানো যায়, কিন্তু ক্ষমতায় আসা কিংবা টিকে থাকা যায় না। তাই আওয়ামী লীগকে নিয়ে যত বেশি নাড়াচাড়া কিংবা ষড়যন্ত্র করা হবে, আওয়ামী লীগের জনসমর্থনের শিকড় আরও বেশি শক্তিশালী হবে- এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।
[৪] তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি ও মানুষ হত্যা করে, দেশের কল্যাণ করতে পারে না, তাদের মানুষ ভোট দেয় না। এরা বিভিন্ন সময়ে নানা উপায়ে সরকারে এলেও টিকে থাকতে পারেনি। সন্ত্রাসী, খুনিচক্র ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বসে নেই। এখনও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
[৫] শেখ হাসিনা বলেন, দেশের একটি শ্রেণি আছে, তাদের কাজই হচ্ছে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করা। জিয়া-এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে নির্বাচন কেমন ছিল? ১০টা হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ভোটে হারেনি, ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছিল।
[৬] মঙ্গলবার বিকেলে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :