শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:১৮ দুপুর
আপডেট : ০১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:১৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফড়িং ক্যামেলিয়া: আপনার ধর্মের সম্মান বাড়বে কিংবা কমবে আপনার আচরণে

ফড়িং ক্যামেলিয়া: একটা মানুষকে শত শত মানুষ মিলে মেরে ফেলে পুড়িয়ে দিলো, কারণ সে তাদের ধর্মকে শ্রদ্ধা করেনি , আচ্ছা এই যে পুড়িয়ে দেয়া হলো তাতে করে কি আসলে ইসলাম ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা মানুষের বাড়বে বলে মনে করেন? খুন করে , মেরে কি সম্মান পাওয়া যায়? মুসলিমদের সম্মান কখন বাড়ে জানেন? যখন তারা কোনো নাস্তিককে সম্মান করে, যখন কোনো নারীর অসম্মানে তারা প্রতিবাদী হয়, যখন কোনো অমুসলিম আক্রান্ত হয় তখন তার পাশে দাঁড়ায়, যখন তারা অন্যের অবিশ্বাস কিংবা বিশ্বাসকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে, যখন কোনো নাস্তিক কোনো মুসলিমের কাছে নিরাপদ বোধ করে তখন ইসলামের সম্মান বাড়ে।

কখন ইসলামের সম্মান কমে জানেন? যখন কোনো মুসলিম দ্বারা কোনো অমুসলিম আক্রান্ত হয় এবং সেটা দেখে বাকিরা চুপ থাকে। পৃথিবীর সকল মুসলিম আইএস না, জঙ্গি না, কট্টর মোল্লা না কিন্তু যখন কোনো কোনো মুসলিম কোনো অন্যায় করে দোষটা ধর্মের উপরে যায় কেন জানেন? কারণ তখন বাকিরা প্রতিবাদ না করে চুপ থাকে কিংবা একটা অজুহাত দেয় ‘ও সহি মুসলিম না’ অথচ বলা উচিত ছিল ও মুসলিম কিন্তু খারাপ লোক আর একটা খারাপ লোকের অবশ্যই কঠিন বিচার হওয়া উচিত, আমি বিচার চাই। একজন খ্রিস্টান অন্যায় করলে কেউ বলে না সে সহি খ্রিস্টান না । বলে ওই বেটা অপরাধী, ওর বিচার চাই।

যখন একজন মুসলিম একজন অমুসলিম, একজন নাস্তিক হত্যা করে তখন হত্যাকারীর কঠিন বিচার চাইবে মুসলিমরাই, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। অথচ বিচার চাওয়ার আগে সে কী লিখেছিলো, সেসব খোঁজা শুরু করে। কেউ কেউ বলা শুরু করে, মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই। সেই যুক্তিতে জেল খানায় যতো মুসলিম চোর বাটপার আছে তারা সবাই ভাই হয়ে যাবে, আর তাদের বিচারের কোনো দরকার নেই উল্টা যে বাড়িতে চুরি করেছে, সে বাড়ির লোকেরা কেন টাকাপয়সা ঘরে রাখলো সেই জন্য তাদের বিচার চাওয়া উচিত।

যাই হোক, ধর্মের কারণে কেউ আক্রান্ত হলে সেই ধর্মের অনুসারীদের উচিত তা প্রতিহত করা, নইলে দোষটা তাদের ঘাড়েই চাপবে। আপনাকে আজকে যদি কোনো মুসলিম দেশ যেমন পাকিস্তানের কিংবা সিরিয়া কিংবা আফগানিস্তানের নাগরিকত্ব দেয়া হয় , যাবেন? যাবেন না। কারণ আপনি সেই দেশে নিরাপদ বোধ করবেন না, কিন্তু ইউরোপ মানে বিধর্মীদের দেশে নাগরিকত্ব দিলে অবশ্যই যাবেন। কারণ আপনি বিধর্মীদের কাছে নিরাপদ। এটাই আসলে পার্থক্য। আপনার ধর্মের সম্মান বাড়বে কিংবা কমবে আপনার আচরণে। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়