রাশিদুল ইসলাম : [২] মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কংগ্রেসকে জানিয়েছে, আমিরাতের কাছে ১০ বিলিয়ন ডলারে এসব যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হচ্ছে। ইসরায়েলের সামরিক প্রাধান্য নিশ্চিত রাখার শর্তে এসব বিমান পাচ্ছে আমিরাত। সংশ্লিষ্ট কমিটির প্রতিনিধি এলিয়ট এ্যাঞ্জেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইসরায়েলের কাছে এধরনের ২৪টি বিমান রয়েছে। ডেইলি মেইল/ব্লুমবার্গ
[৩] রয়টার্স গতমাসে জানায় আগামী ২ ডিসেম্বর আমিরাতের জাতীয় দিবস পালনের আগেই ট্রাম্প প্রশাসন আবু ধাবির সঙ্গে এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান বিক্রির ব্যাপারে একটি প্রাথমিক চুক্তি করতে চায়। মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি এবং প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি এ ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে বাতিল করতে পারে।
[৪] গত আগস্টে ইসরায়েলের সঙ্গে আবু ধাবি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয়ার পর আমিরাতকে এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান দিতে সম্মত হয় ওয়াশিংটন। আমিরাত দীর্ঘদিন ধরে এধরনের বিমান চাইলেও ইসরায়েলের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব ও উচ্চমানের সামরিক প্রযুক্তি মিত্রদেশগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধতা রাখার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা থাকায় তা দেয়া হয়নি।
[৫] মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগরীয় অঞ্চলে চীন ও রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি লক্ষ্য রেখে এলিয়ট এ্যাঞ্জেল বলেন এক্ষেত্রে মার্কিন সামরিক ক্ষমতা রক্ষার নিশ্চয়তা প্রয়োজন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন তার দেশ ও আমিরাত ইরানের তরফ থেকে একই ধরনের হুমকি মোকাবেলা করছেন।
[৬] কাতার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও তা বিক্রি করলে সৌদি আরব, ইসরায়েল ও আমিরাত সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে এ শঙ্কায় ওয়াশিংটন তাতে সাড়া দেয়নি। সৌদি নেতৃত্বে আরব জোট দীর্ঘদিন থেকে কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ দিয়ে রেখেছে।