শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ০৬:২২ সকাল
আপডেট : ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ০৬:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ‘ঢলন’ না দেয়ায় কৃষিপণ্য কিনছে না ব্যবসায়িরা, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

এইচ এম শাহনেওয়াজ: [২] রাজশাহীর পুঠিয়ায় ঢলন দিতে অস্বীকার করায় বিক্রেতাদের কৃষিপণ্য কিনছে না ব্যবসায়িরা। এ ঘটনায় প্রায় এক ঘন্টা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে খেজুর গুড় রেখে অবরোধ করেন বিক্রেতারা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের লোকজন ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

[৩] বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে পৌরসভার ঝলমলিয়া হাটে এ ঘটনা ঘটে।

[৪] জানা গেছে, প্রতি হাটবারে ভোর থেকে ঝলমলিয়া হাটে কেনা বেচা শুরু হলেও আজ বৃহস্পতিবার ছিল তার ব্যতিক্রম। বিক্রেতারা প্রতিমণে দুই থেকে তিন কেজি ঢলন না দেয়ায় ব্যবসায়িরা মালামাল ক্রয় করেনি। এ ঘটনায় পুরো গুড় হাট জুড়ে বিক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ বিক্রেতারা সকাল ৯ টা থেকে প্রায় ১০ টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এদিকে ব্যবসায়িরা গুড় না কেনায় বিক্রেতারা তা ফেরৎ নিয়ে গেছেন।

[৫] খেজুরের গুড় বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ইউএনও স্যার বৃহস্পতিবার (২৯ অষ্টোবর) সকালে হাটে এসে আমাদের বলেছেন ৪০ কেজিতে মণ হিসাবে বিক্রি করতে। আর ব্যবসায়িদের দাবি ৪২ কেজিতে মণ নেবেন। যার কারণে আজ সকাল থেকে কোনো ব্যবসায়ি আমাদের গুড় ক্রয় করেনি। এতে আমরা মহাসড়কে গুড়ের ডালি রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছি। আর যেহেতু কোনো গুড় কেনা বেচা হয়নি তাই সকল বিক্রেতারা তাদের গুড় ফেরৎ নিয়ে গেছেন।

[৬] গুড় ব্যবসায়ি আনারুল ইসলাম বলেন, ৪০ কেজিতে মণ হিসাবে গুড় কিনে প্যাকেট করে তা মোকামে বিক্রি পর্যন্ত প্রতিমণে এক কেজি কমে যায়। যার কারণে আমরা বিক্রেতাদের নিকট থেকে এক কেজি ঢলন নেই। আজ বিক্রেতারা ঢলন দিতে না চাওয়ায় কোনো ব্যবসায়ি গুড় কিনছেন না।

[৭] এ বিষয়ে ঝলমলিয়া হাট ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি মুন্সি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঢলন প্রথা নিরসনে সম্প্রতি মাননীয় সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বানেশ্বর বাজারে কৃষক ব্যবসায়িদের সাথে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সকলের সম্মতিতে ডিজিটার পাল্লায় ৪০ কেজিতে মণ নির্ধারণ করা হয়।

[৮] আগের যে ঢলন প্রথা ছিল তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। আগে একজন চাষি এক মণ ফসল বিক্রি করতে এসে প্রকার ভেদে ২ থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত ঢলন দিতে হতো। এটা কৃষকদের উপর জুলুম করা হতো। আমি আশা করবো সকল ব্যবসায়িরা ৪০ কেজিতে মণ হিসাবে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা মেনে কেনাবেচা করবেন।

[৯] থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, ঝলমলিয়া হাটে আগত খেজুরের গুড় বিক্রেতা ও ব্যবসায়িদের মধ্যে ঢলন নিয়ে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। এক পর্যায়ে গুড় বিক্রেতারা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে প্রতিবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।

[১০] এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, ঝলমলিয়া হাটে ঢলন নিয়ে আজ যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তার সমাধান নিয়ে আমরা কাজ করছি। সম্পাদনা: সাদেক আলী

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়