ডা. জাকারিয়া চৌধুরী: ( লেখার এই শিরোনামটি আমি দিয়েছি। এর কারন, যারা ধর্মীয় সংঘাতের কথা শুনতে চান না তারা যেন আগেই স্কিপ করতে পারেন। যারা মজা পান তাদের জন্যেও এ লেখা নয়। যারা এটি পরে ক্ষুব্ধ হয়ে জিহাদী হবেন, বিশ্বজয় করতে চান- এ লেখা তাদের জন্যও নয়। এ লেখাটি চিন্তাশীলদের জন্য। )
মুল লেখিকা ইয়াসমিনা আলোচি।
-
৮ই মে ২০১৭ সকাল ৮ টা।
-
কি- আলজেরিয়ায় ফরাসী বর্বরতা।
-
কখন- ৮ই মে ১৯৪৫ সন।
-
কোথায়- সেতিফ, গোয়েলমা এবং এর আশ পাশের এরিয়া।
-
কি হয়েছিল সেদিন ?
-
যেদিন জার্মানী দ্যাট মিনস ৮ই মে ১৯৪৫ আনুষ্ঠানিকভাবে মিত্র শক্তির নিকট সারেন্ডার করে।ইউরোপ তখনও বিশ্বাস করতে পারছিল না হিটলারের বাহিনী সারেন্ডার করেছে। আবার ইউরোপের কোন কোন অংশে বাজি ফুটতে শুরু করেছে এটা নিশ্চিত হয়ে যে, বার্লিন পরাজিত হয়েছে।হাজার হাজার আলজেরিয়ান নারী পুরুষ শিশুদেরকে ফরাসি সরকার একত্রে জড়ো করে এই বলে যে, তারা বিজয় উৎসব পালন করবে।নাজিদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের জয় হয়েছে।বলা বাহুল্য আফ্রিকার অনেক দেশের মত আলজেরিয়াও তখনও ফরাসী কলোনী।
এই যুদ্ধাকালীন সময়ে আমাদের উপমহাদেশে যেমন ব্রিটিশ বিরোধী বিক্ষোভ চলছিল, তেমনি আলজেরিয়াতেও ফরাসি রাজের বিরুদ্ধে চলছিল স্বাধীনতা আন্দোলন এবং দিনে দিনে তা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিলো।সেতিস শহর যা কিনা আলজেরিয়ার উত্তরাংশে অবস্থিত সেখানে প্রায় চার হাজার জনতা রাস্তায় নেমে আসে শান্তিপুর্ন বিক্ষোভে অংশ নিতে, এ বিক্ষোভ ছিল স্বাধীনতার বিক্ষোভ, মৌলিক অধিকার ফিরে পাবার আকাংখ্যা।
-
জনতার কাতারে যোগ দেয় বিভিন্ন সংস্থা থেকে শুরু করে প্রায় সব শ্রেনী পেশার মানুষেরাও।তারা প্ল্যাকার্ড বহন করছিল যেখানে লেখা ছিল’দাসত্বের অবসান হোক’ ‘সম অধিকার চাই’ ইত্যাদি।বিক্ষোভের মধ্য হতে সাল বাউজিদ নামের ১৪ বছরের একজন বালক যখন আলজেরিয়ান ফ্ল্যাগ উচ্ছে তুলে ধরলো,ফরাসি জেনারেল দুভেলের নির্দেশে শুরু হল গনহত্যা। কাদের উপর ? নিরিহ প্রটেস্টিং জনতার উপর। তারা কি চাইছিল ? তারা সম-অধিকার এবং স্বাধীনতার জন্য মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত করে তুলেছিল তাদের দেশের রাস্তাঘাট,হাট বাজার।তারা তাদের নিজেদের দেশে মৌলিক অধিকার ও সমতার নিশ্চয়তা চেয়েছিল।সেখানে মুহুর্তের মধ্যে বাউজিদ নামের সেই কিশোর সহ হাজারো বিক্ষোভকারীর লাশ পড়েছিল। রাস্তাঘাট কার্পেটের মত উচু এবং স্ফীত হয়ে উঠেছিল মানুষের জমাটবাধা তাজা রক্তে।
-
ক্ষুব্ধ জনতার জেদ ও ক্রোধের পারদ যত-ই উপরে উঠছিল তারচে বেশি মেঘ আকাশে জমছিল বারুদ পোড়া ধোয়ায়।দাংগা থামাতে ফরাসী সরকার কৌশল হিসেবে গ্রহন করলো পপুলেশন কন্ট্রোল নামের এক তত্ত্ব। যেখানে আজকের মানে ২০২০ সালের আলজেরিয়াতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫০ জনের নিচে লোকের বাস। তখন সেই ঘনত্ব ১০ এর উপরে ছিল তা বিশ্বাস করিনা।ফরাসী বাহিনী তাদের উপর যেমন ট্যাংক তুলে দিয়েছিল তেমনি বিমান হামলা করে নির্বিচারে গনহত্যা চালিয়েছিল।ধর্ষনের পর নারীদের যৌনাঙ্গে বেয়নেট দিয়ে খোচানো হয়েছিল। পুরুষদের যৌনাঙ্গ কেটে তাদের মুখে সেসব ভরে দিয়ে উল্লসিত ফরাসী সৈনিকেরা যেসব ফটো তুলেছিল আজকের আর্টিকেলে সেসবের দু’একটা না দেখালেই নয়।ফেবু’তে এখন বড় লেখা কেউ পড়ে না।আপনাদের ভাল লাগলে এর দ্বিতীয় পর্ব লিখব। ফেসবুক থেকে