মহসীন কবির : [২] মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে বরগুনা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন । এ রায়ে ৩ জনকে খালাস দেন আদালত।এর আগে সকাল ৯টার দিকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়েছে কারাগারে থাকা ৬ আসামিকে। জামিনে থাকা বাকি ৮ আসামিও সকালে আদালতে হাজির করা হয়।
[৩] ১০ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- মো. রাশিদুল হাসান রিশান ওরফে রিশান ফরাজী, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, মো. আবদুল্লাহ ওরফে রায়হান, মো. অলিউল্লাহ ওরফে অলি (১৬৪ ধারায় জবানবন্দিদাতা), মো. নাঈম ও মো. তানভীর হোসেন। এদের সবাই বর্তমানে কারাগারে এবং শিশু অপরাধ আইনে এটিই সর্বোচ্চ শাস্তি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
[৪] পাঁচ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- জয় চন্দ্র সরকার ওরফে চন্দন, মো. নাজমুল হাসান, মো. রাকিবুল হাসান নিয়ামত ও মো. সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ও মহিবুল্লাহ। আর তিন বছর সাজা পাওয়া একমাত্র আসামি প্রিন্স মোল্লা। মামলায় খালাসপ্রাপ্ত তিন আসামি হলো মারুফ মল্লিক, রাতুল সিকদার জয় এবং মো. আরিয়ান হোসেন শ্রাবন।
[৫] গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিচারের রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান। ১০ আসামির মধ্যে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
[৬] মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)। এছাড়া বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।
[৭] উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাতের ওপর হামলা হয়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ঐ বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়। আলোচিত এ হত্যা মামলার রায়ের দিকে নজর থাকবে আজ গোটা দেশবাসীর।
আপনার মতামত লিখুন :