সমীরণ রায় : [২] কামাল আহমেদ মজুমদার আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের বেতনসহ অন্য ফি পরিশোধে অভিভাবকদের কোনো ধরনের চাপ না দিতে মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
[৩] তিনি বলেন, বেতন ও অন্য ফি পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে কোনো শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা যাবে না, প্রমোশন আটকানো যাবে না। করোনার প্রভাবে আর্থিক সংকটের কারণে যে সব অভিভাবক ছাত্রছাত্রীদের বেতন ও ফি পরিশোধ অক্ষম তারা ব্যক্তিগতভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বরাবর দরখাস্ত করলে সেটি বিবেচনা করা হবে। অভিভাবকদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় প্রয়োজনে শতভাগ পর্যন্ত বেতন মওকুফ করা হবে। তবে যে সব অভিভাবক আর্থিকভাবে সচ্ছল তাদের দরখাস্ত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
[৪] তিনি আরও বলেন, যে সব শিক্ষার্থীর বাসায় তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ নেই, তাদের জন্য পর্যায়ক্রমে ল্যাপটপ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন। ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক-শিক্ষকদের সমন্বয় এবং পারস্পরিক যোগাযোগ রেখে করোনাকালে স্কুল ও কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানান শিল্প প্রতিমন্ত্রী। একই সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের যে সব শিক্ষক প্রাইভেট পড়ান বা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে যথাযথ আচরণ করবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
[৫] সোমবার রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে অবস্থিত মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব নির্দেশনা দেন। সম্পাদনা: বাশার নূরু
আপনার মতামত লিখুন :