এএইচ রাফি: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবায় ধর্ষিতার পরিবারকে সমাজচ্যুত করায় এক সর্দারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশে নির্যাতিতার বাবা উপজেলার বিশারাবাড়ীর গ্রাম্য সর্দার হেবজু মিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেন। কসবা থানা অভিযোগ নং-১০৭৪। শনিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।
[৩] খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বিশারবাড়ী মসজিদের ইমাম ওবায়দুল হক (৫০) এর নিকট এক মাদরাসা ছাত্রীকে কোরআন শিখতে দিলে বিভিন্ন কৌশলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। কুফরী করে তার বাবা মাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়েও একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তসত্বা হলে ইমাম তাকে ফুসলিয়ে গর্ভপাতের ঔষধ খাওয়ায়।
[৪] এতে তার মৃত বাচ্চা প্রসব হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে মসজিদের ইমামকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে হেবজু মিয়া সর্দারসহ কয়েকজন সর্দার। ঘটনার পর হেবজু সর্দারের নেতৃত্বে সালিশের মাধ্যমে সমাজচ্যুত করে একঘরে করা হয় ধর্ষিতার পরিবারকে। নির্যাতিতার বাবা এ ঘটনায় কসবা থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নামে কালক্ষেপন করায় ন্যায় বিচারের আশায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতে মামলা করলে আদালত পিবিআইকে সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশনা দেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান বলে প্রতিবেদককে জানান পিবিআই পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন।
[৫] এদিকে ধর্ষক ওবায়দুল্লাহকে গ্রেপ্তারসহ ও নির্যাতিতার পরিবারকে সমাজচ্যুত করার নির্দেশদাতাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে কসবা সচেতন নাগরীক সমাজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা পরিষদ মানববন্ধন করে এবং পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেন ।
[৬] কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, বিশারাবাড়ীর ধর্ষণ ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারকে সমাজচ্যুত করার বিষয়ে হেবজু সর্দারের নামে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার বাবা। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ