ইসমাঈল ইমু ও সুজন কৈরী : [২] সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর সাংসদ হাজী সেলিমের একটি বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে তার ছেলে ইরফান সেলিমকে ‘হেফাজতে’ নিয়েছে র্যাব।
[৩] সোমাবার সকালে মারধরের ঘটনায় এমপি পুত্র ইফরান সেলিমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় সকালে 'মারধর ও হত্যাচেষ্টা' মামলা করেছেন নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা। এরপরই দুপুরে দেবীদাস ঘাট লেন এলাকায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে একদল র্যাব সদস্য হাজি সেলিমের বাজায় তল্লাসী জালিয়ে ইরফান সেলিমকে আটক করে।
[৪] গত রাতে রাজধানীর কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাজী সেলিমের ছেলে ইফরানের গাড়ি মোটরসাইকেলে থাকা নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম আহমেদ খান ও তার স্ত্রীকে ধাক্কা দেয়। নৌ কর্মকর্তা ওয়াসিম ধাক্কা সামলে গাড়িটির সামনে দাড়ালে তাকে বেধরক মারধর করে হাজি সেলিমের ছেলে ইফরান সেলিম ও তার সহযোগিরা। রাতেই ধানমণ্ডি থানায় জিডি করেন ভুক্তভুগী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম। এ ঘটনায় গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়।
[৫] মামলায় মোট পাঁচটি ফৌজদারি অপরাধের ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অপরাধগুলো হলো- দণ্ডবিধি ১৪৩ অনুযায়ী বেআইনি সমাবেশের সদস্য হয়ে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধমূলকভাবে বল প্রয়োগ করা, ৩৪১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ৩৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার কাজে বাধাদানের উদ্দেশ্যে আহত করা, ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার ওপর বল প্রয়োগ করা এবং ৫০৬ ধারায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার।
আপনার মতামত লিখুন :