ইসমাঈল ইমু : [২] অধ্যাপক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা তদন্ত করতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন রোববার এই আদেশ দেন।
[৩] কয়েকদিন আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে ‘আসসালামু ওয়ালাইকুম’ ও ‘আল্লাহ হাফেজ’এর শুদ্ধ উচ্চারণ জঙ্গিবাদের সংস্কৃতি হিসেবে মন্তব্য করেন তিনি। এরপর গতকাল রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব বিভাগের এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা করা হয়।
[৪] এর মধ্যে মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসানের সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলম একটি ও ইমরুল হাসান নামে এক আইনজীবী অপর একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি নেওয়ার পর মামলা দু’টি আদেশের জন্য রেখেছিলেন।
[৫] মামলায় অভিযোগ করা হয়, সম্প্রতি ‘ডিবিসি নিউজ’ টেলিভিশন চ্যানেলের ‘উপসংহার’ নামে টক শো’তে ‘ধর্মের অপব্যাখ্যায় জঙ্গিবাদ’ শিরোনামে আলোচনায় ‘আসসালামু আলাইকুম’ ও ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলাকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে বক্তব্য দেন। এসব বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি মুসলিমদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
[৬] ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ ও ২৯ ধারায় ঢাবি’র এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মাসিক বাইয়্যিনাত সম্পাদক। অপরদিকে আইনজীবী ইমরুল হাসানের মামলায় একই আইনের ২৫ ও ২৮ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :