শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি একাই ছাড়িয়ে চলেছে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও মরক্কোর মোট রপ্তানি ◈ ইসি’র পরিকল্পনা: বড় জেলায় একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা, দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের হাতে ◈ জুলাই সনদ বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট মাইলফলক: খালেদা জিয়া ◈ বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইরাক ◈ রাকসুর ৮ কেন্দ্রের ফল: ভিপি পদে প্রায় চারগুণ ভোটে এগিয়ে শিবিরের জাহিদ ◈ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না এনসিপি ◈ চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুনে ধসে পড়ছে কারখানার ভবন (ভিডিও) ◈ অর্থ ফেরত এলে ব্যাংকিং খাত আরও স্থিতিশীল হবে’ — গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ◈ নারী বিশ্বকা‌পে বাংলাদেশ‌কে ১০ উই‌কে‌টে হা‌রা‌লো অ‌স্ট্রেলিয়া ◈ বাজেট সংকটে কঙ্গো মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশের শেষ কন্টিনজেন্ট প্রত্যাহার

প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর, ২০২০, ০৮:১৮ সকাল
আপডেট : ২৬ অক্টোবর, ২০২০, ০৮:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারী বর্ষণে ভেসে গেছে ১০ হাজার মাছের ঘের

ডেস্ক রিপোর্ট: টানা বর্ষণে বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে ১০ হাজারেরও বেশি মাছের ঘের ও পুকুর। বিশেষ করে জেলার মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

এদিকে পানি কমতে শুরু করলেও হাসি নেই মৎস্যচাষিদের মুখে। ঘেরের মাছ বের হয়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বর্ষণে এই দুর্যোগের সৃষ্টি হয়েছে।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার গুলিশাখালী গ্রামের মৎস্যচাষি রবিউল ইসলাম বলেন, দু'দিনের টানা বৃষ্টিতে ঘেরের প্রায় ৭ লাখ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে। শুধু আমার নয়, আমার এলাকার বিভিন্ন অনেক চাষির ঘের ও পুকুর ডুবে গেছে।

শরণখোলা উপজেলার গোলবানু, মহিবুন্নাহার, ছাহেরা বেগম, হাওয়া বেগম, শাহিনুর বেগমসহ কয়েকজন জানান, বৃষ্টিতে আমাদের থাকার ঘর, গোয়াল ঘর ডুবে গেছে। রান্নাঘর ডুবে যাওয়ায় দু'দিন ধরে দোকান থেকে চিড়া, মুড়ি ও রুটি কিনে খাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি না নামলে দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।

শরণখোলা উপজেলার রাজৈড় গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী সোহেল ফরাজী ও সোবহান শেখ বলেন, এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মাছ ছেড়ে ছিলাম। কিছুদিন পর মাছ বিক্রি করার ইচ্ছা ছিল। বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল আমার। এখন কীভাবে চলবে জানি না।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন বলেন, বৃষ্টিতে আমার উপজেলার ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। আমরা তাদের সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. খালেদ কনক বলেন, অবিরাম বর্ষণে বাগেরহাটের ৯ হাজার ৭৬১টি মৎস্য ঘের ও পুকুর ভেসে গেছে। এতে চাষিদের প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, এই ক্ষতি পোষাতে চাষিদের প্রশিক্ষণ ও সরকারি বিভিন্ন প্রণোদনার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি বলে দাবি করেছেন বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি মহিতুল ইসলাম সুমন।

তিনি বলেন, প্রত্যেক দূর্যোগে বাগেরহাটের মৎস্য চাষিরাই বেশি ক্ষতির শিকার হন। কিন্তু সরকারি হিসাবে এসব ক্ষতির পরিমাণ কম দেখানো হয়। এবারের বৃষ্টিতে বাগেরহাটের ১৫ হাজার ঘের ও পুকুর ভেসে গেছে। চাষিদের ক্ষতি পোশাতে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, অতিবর্ষণের কারণে বাগেরহাট জেলায় এবারও কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভাটির সময় আবার সেই পানি নেমেও গেছে। এতে কিছু মাছের ঘেরও ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিভিন্ন উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে খাদ্যশস্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান।সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়