শিরোনাম
◈ ঢাকা–করাচি রুটে সপ্তাহে তিনটি সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ ◈ ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে তাপমাত্রা, আসছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস ◈ জমি রেজিস্ট্রেশনে স্বচ্ছতা আনতে নতুন নিয়ম: ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে কার্যকর ◈ বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্ব তুলে ধরলো সরকার (ভিডিও) ◈ জয় ও পলকের বিরুদ্ধে আনা তিন অভিযোগে যা আছে ◈ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা ◈ উত্তরার সাত থানায় নতুন ওসি নিয়োগ: নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় রদবদল ◈ লন্ডন থেকে রওনা হচ্ছেন জোবাইদা রহমান, ঢাকায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে 'বিলম্ব হবে' ◈ যুক্তরাজ্যের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি–পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত, ভর্তিতে বিধিনিষেধ দিয়েছে যারা ◈ দেশে এলো তারেক রহমানের ‘বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন’ ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার গাড়ি!

প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৩ দুপুর
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাকির তালুকদার: সাহিত্যের ফতোয়াবাজি ও শ্রেণিচরিত্র

জাকির তালুকদার: অভিজাত হুমায়ুন কবীর তারাশংকর সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন- ও তো একটা গেঁয়ো। ধনী অভিজাত সুধীন দত্ত তো আধাবেকার জীবনানন্দকে কবি বলেই স্বীকার করতেন না। ‘পরিচয়’ পত্রিকায় একটিমাত্র কবিতা ছেপেছিলেন। সেটাও বিষ্ণু দে-র সম্মানরক্ষার্থে। কারণ ‘পরিচয়’-এ ছাপার জন্য জীবনানন্দের কাছ থেকে কবিতাটি চেয়ে এনেছিলেন বিষ্ণু দে। বুদ্ধদেব বসু তখন কলকাতায় অবস্থান তৈরির জন্য যুদ্ধ করছেন। সুধীন দত্তের ‘পরিচয়’-এর আসরে যেতেন। কিন্তু সমাদর পাননি। নিজেকে অপাংক্তেয় মনে হতো। যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
অভিজাত ধনী শিক্ষিত পরিবারের সন্তান ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বেকার দরিদ্র মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামটি পর্যন্ত সঠিকভাবে লেখেননি। তিনি তাচ্ছিল্য করে লিখেছিলেন, মাণিকলাল। বুদ্ধদেব বসু কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হবার পর নিম্ন-মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চ-মধ্যবিত্তের সিঁড়িতে পা দেবার পরে দরিদ্র ভবঘুরে হাবিলদার কাজী নজরুল ইসলামকে ছোট করতে গিয়ে বললেন, নজরুল পরিপক্ক হতে পারেন নি। প্রতিভাবান বালকই রয়ে গেছেন। আর সৈয়দ মুজতবা আলী কাবুলের এক নামগোত্রহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। অনেক ভাষা জানেন বটে, কিন্তু কলকাতায় তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় নেই। লেখার সম্মানী দিয়ে কোনোমতে খেয়ে-পরে দিন গুজরান করেন। বুদ্ধদেব ফতোয়া দিলেন, সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা মানে স্রেফ অহেতুক চিৎকার।

সেইসব ফতোয়াবাজ মূলত টিকে আছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গবেষণাগারে। মানিক, তারাশংকর, জীবনানন্দ, নজরুল, সৈয়দ মুজতবা আলী সজীব পাঠকের পাঠ-টেবিলে। তবে ফতোয়াবাজরা এখনো তৈরি হয়। তারা এখনো অনভিজাত মেধাবী লেখকদের অস্বীকার করেন মূলত শ্রেণীবিদ্বেষ থেকে। যদিও বাংলাদেশে অভিজাত লেখক কেউ নেই। সবাই বড়জোর এক বা দুই পুরুষের ধনী। সেই ধন কোনো সুস্থ পন্থায় অর্জিত নয়। আর শিক্ষার ঐতিহ্য প্রায় কারো পরিবারেরই নাই। তবু তারা ফতোয়াবাজি চালিয়ে যান। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়