শিরোনাম
◈ ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের ৪টি স্টেশনে ফাটল, খসে পড়েছে টাইলস ◈ ৩২ ঘণ্টায় চার ভূমিকম্প: ঢাকায় বড় কম্পনের শঙ্কা বাড়ছে ◈ ঢাকায় ২২ লাখ ভবনের মধ্যে ২১ লাখই ঝুঁকিপূর্ণ, বড় ভূমিকম্পে ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা ◈ ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা ◈ উত্তপ্ত আন্ডারওয়ার্ল্ড: আধিপত্যের লড়াইয়ে বাড়ছে খুন-খারাপি ও চাঁদাবাজি ◈ ভূমিকম্পে ফাঁটল: আতঙ্কে ছাত্রাবাস ছেড়ে সড়কে রাত কাটাচ্ছেন ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ বকশিবাজারে আলিয়া মাদরাসায় ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী (ভিডিও) ◈ ভারত আইনগতভাবে হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য: নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুনিরুজ্জামান ◈ ভূমিকম্পে মৃত্যু: ছেলেকে হারিয়ে নিজেকেই দায়ী করছেন মা নিপা ◈ মুশফিককে কেন রেকর্ড গড়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি, ব্যাখ্যা দিলেন আশরাফুল

প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:১৯ সকাল
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জান্নাতুল নাঈম প্রীতি: ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানটা আসলে কে লিখেছিলেন?

জান্নাতুল নাঈম প্রীতি: মেহের আফরোজ শাওন এবং চঞ্চল চৌধুরী মিলে একটি গান গেয়েছেন, যেটা আবার সরলপুর ব্যান্ডের তপন চৌধুরী নামের একজন কপিরাইট ক্লেইম করেছেন। কিন্তু মূল সমস্যা হচ্ছে গানটা তারও না, অন্য একজনের গানে তিনি নিজের কয়টি বাক্য জুড়ে দিয়েছেন। যদ্দুর জানি মূল গানটা লিখেছেন দ্বিজ কানাই, ময়মনসিংহ গীতিকায় যা সংগ্রহ করেছিলেন দীনেশচন্দ্র সেন। ওদিকে সুমি মির্জা নামের অন্য একজনের নামে এই গানের সত্ত্বাধিকারীর কাগজপত্র ফেসবুকে ঘুরতে দেখছি। পুরো বিষয়টা হয়ে গেছে কপিরাইট ক্লেইমের খেলা!

বাঙালির যেকোনো প্রতিক্রিয়ার মতো দুই দল এই গানের ব্যাপারেও তৈরি হয়ে গেছে। একদল যিনি কপিরাইট ক্লেইম করেছেন তার পক্ষে, অন্যদল মেহের আফরোজ শাওন আর চঞ্চল চৌধুরীর গায়কীর পক্ষে আর কাগজপত্রসহ সুমি মির্জার পক্ষের। মাঝখানে গানের মূল রচয়িতা দ্বিজ কানাই সাহেব একদম চুপ, ভদ্রলোক বহু আগেই মারা গিয়েছেন। তিনি লেখা বিকৃতির দাবি তুলতে অপারগ। কিন্তু আসলে কে গানটা লিখেছিলেন? সেই প্রশ্নের জবাব মিলবে আদৌ?

কবির সুমন একখানে লিখেছিলেন, ইউটিউবেও আমার গানের শ্রোতা খুব কম। তার কারণ ঘৃণা। আমি তাঁকে জানিয়েছি- তাঁর জানাটা সত্যি নয়। শরীরের দাগ মিলিয়ে যায়, কিন্তু মনের দাগ কখনো মিলায় না। মিলায় না বলেই শৈশবের কথা সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে। গত চারমাস কবির সুমনের গান যখন আত্মগোপনে ছিলাম শুনতাম। মনে হতো কেউ একটানা প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন। গানে গানে বলছেন- আমি চাই হিন্দু নেতার সালমা খাতুন পুত্রবধূ/আমি চাই ধর্ম বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু!

ইউটিউবের ভিউ, ফেসবুকের লাইক, সবকিছুর শেষেও জয়-পরাজয় গন্ডির বাইরেও যে গন্ডি, সেটির নাম স্বাধীনতা। অথচ সুমন যখন ইসলাম গ্রহণ করলেন তখন একটা প্রগতিশীল নামের বড়ো অংশ তাঁকে বাতিল করে দিলো,ঘৃণা ছড়ালো। লজ্জার কথা সেই দলে আমিও ছিলাম। সেই লজ্জা আমি মাথা পেতে নিতে পারি এই বলে যে- স্বাধীনতার কথা মুখে বলার চেয়ে পালন করাটা বড়ো কঠিন। আমরা ক'জন সেটা পারি?

আগে কেউ গালি দিলে খুব রাগ করতাম। কিন্তু তবুও আমি চাই গালি দেয়ার স্বাধীনতাটুকু মানুষ উপভোগ করুক। যে আমার মতপ্রকাশের অধিকার হরন করে, আমি তার মত প্রকাশের স্বাধীনতায়ও বিশ্বাসী। বিশ্বাসী বলেই- দ্বিজ কানাই টিকে থাকুন সরলপুরের গানে, সরলপুরের গান টিকে থাকুক শাওন আর চঞ্চলের গায়কীতে। কারণ দাগের ওপর দাগ কাটলেও প্রথম দাগটির মতো গভীর হয় না! শেকড় ছুঁতে পারেনা অ শেকড়, তার যতই ইউটিউব ভিউ আর জনপ্রিয়তা থাকুক। মিথ্যা জনপ্রিয় হলেও তা মিথ্যাই থাকে!

আমার কেবল চাওয়া, দুনিয়ায় মানুষ সহনশীল হোক। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বকে তাঁর পরকীয়া দিয়ে, সুমনকে তাঁর ধর্মের বাটখারা দিয়ে, মিথ্যাকে জনপ্রিয়তা দিয়ে না মাপুক! পৃথিবীর সব যুদ্ধের শেষে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখুক- মহাবিশে^র তুলনায় সে একটি বিন্দুও নয়। সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে জীবনানন্দের মতো বলুক-পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল/এশিরিয়া ধুলো আজ, ব্যাবিলন ছাই হয়ে আছে! পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে থাক, কিন্তু মানুষ জানুক- মানুষ ছোট হয় তার বড়ো সাজার চেষ্টায় আর বড়ো হয় তার ছোট হওয়ার তেষ্টায়! এই সহজ কথাটা আমরা কবে বুঝবো? ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়