অজয় দাশগুপ্ত: তিনটি ছবি দিলাম। সাদাকালো ছবি দুটোর জীবন্ত স্বাক্ষী আমি। কলকাতায় মাতুলালয় ও জেঠা পীসি দিদির বাড়ী পৌঁছানোর আগে ত্রিপুরায় ছাদহীন ঘরে রাত কাটিয়েছি আমরা।
দুই দিদি আমিও মাকে পাহারা দিয়ে ঘুমহীন থাকতেন পিতা। কলকাতার তখনকার লবনহৃদ, এখনকার সল্টলেক ছিলো ময়লা ফেলার ভাগাড়। সে ভাগাড়েই বেঁচেছিলেন হাজার হাজার বাঙালি। ইন্দিরা গান্ধী থেকে সিনেটর কেনেডি সবাই গেছেন সেখানে। এতো কষ্টে থাকা বাংলাদেশি শরণার্থীদের একজনও চোর ছিলেন না।
ডাকাতি করেনি কেউ। রিলিফের চাল আর আলু খেয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো, না খেয়ে দেশের মুক্তির জন্য দোয়া চাইতো। তারা মাদক নিতে পারে এমন কথা স্বপ্নেও ভাবেনি কেউ। মাদক কি তাও জানতো না। বড়জোর দু একটা পাতার বিড়ি। তারপরও আমরা স্বাধীন হয়েছি। নিজেদের দেশে ফিরেছি। রঙিন ছবিটি দেখুন। এমন বাড়িঘর বাংলাদেশে কজন বাঙালির আছে?
নোয়াখালীর ধর্ষিতা মেয়েটির বাড়ী যতোবার টিভি ক্যামেরায় দেখেছি ততোবার লজ্জায় মাথা নত হয়েছে। এটি কোনো বাড়ি না ঘর? এমন ঘরবাড়ি নামের মানবেতর এক চালায় থাকে আমাদের মানুষেরা। আর ছবির বাড়িগুলো? হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নেটের লাইন লাগিয়ে তৈরি করা লাল বাড়িঘর গুলো বানানো হয়েছে মহামান্য রোহিঙ্গা ভাই বোনদের জন্য, ভাসান চরে। কিন্তু তাহারা যাইতে নারাজ। মনের আনন্দে বাঙালি পিটাইয়া গাঁজা, ইয়াবা বেচিয়া ধর্ষণ করিয়া তাহারা যে সুখশান্তিতে আছে তাহা ফেলিয়া কেন যাইবে? জামাই আদরের এমন শরণার্থী কখনো দেখেছে কেউ? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :