ফরহাদ আমিন: [২] বৈরী আবহাওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।এ অবস্থায় সব ধরনের নৌযানকে নিরাপদে আশ্রয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে পড়ায় দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
[৩] এদিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে গিয়ে আটকে পড়া পর্যটকরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারেক মাহমুদ।
[৪] কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ মো.আব্দুর রহমান বলেন, শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে বিকাল পর্যন্ত ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সাগরে সৃষ্ট নিম্ন চাপটি দুর্বল হয়ে পড়ায় দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সংকেত থাকায় সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌযানকে উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
[৫] দ্বীপের বাসিন্দা ইসহাক মাহমুদ বলেন,সাগর উত্তাল ও বৈরি আবহাওয়ায় কক্সবাজার থেকে জাহাজ না আসায় দ্বীপে চার শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন। পর্যটকরা আবহাওয়ার কারণে আসতে না ফেরে কেউ জেটি ঘাটে, কেউ হোটেলের বারান্দায় বসে মোবাইলে গেমস খেলে অলস সময় পার করতেছেন। সাগর স্বাভাবিক হয়ে গেলে পর্যটকরা ফিরে যাবেন।
[৬] সেন্টমার্টিনদ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন,বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকে সমুদ্র উপকূলকে ৪নম্বর থেকে নামিয়ে ৩নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাই তারা সেখানে আটকা পড়ে। বর্তমানে দ্বীপে চার শতাধিক পর্যটক বিভিন্ন রিসোর্টে অবস্থান করেছেন। তারা নিরাপদে রয়েছেন। তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সাগরের পরিস্থিতি ভালো হলে তারা নিরাপদে কক্সবাজারে ফিরে যেতে পারবেন।
[৭] সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারেক মাহমুদ বলেন,৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত থাকায় কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাওয়া চার শতাধিক আটকে পড়া পর্যটক নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে তাদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার বিষয়ে নজরদারি রয়েছে।
[৮] উল্লেখ্য দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় গত দুই দিন আগে ভ্রমণে যাওয়া এসব পর্যটক কক্সবাজারে ফিরে আসতে পারেননি। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :