শেখ রোকন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, খবরে দেখছি। একই ধরনের উপহার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী করনাড সাংমাকেও পাঠিয়েছেন? পাঠানো উচিত।
বাংলাদেশ-ভারত অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও যোগাযোগ সম্পর্কের মূলে রয়েছে এই চার রাজ্য। নদী-সম্পর্কের দিক থেকে দেখলে এই চার রাজ্য ছাড়া সিকিমও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই পাঁচ রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ‘সাংস্কৃতিক’ ঐতিহ্য ও সম্ভাবনা।
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী ‘হেজিমনি’ বাঙালিয়ানার প্রভাব বলয় পাঁচ রাজ্য ছাড়িয়ে বর্তমান ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িষা পর্যন্ত বিস্তৃত। দেশ ভাগের ফলে উপমহাদেশে বাঙালির রাজনৈতিক প্রভাব খণ্ড ও খর্ব হয়েছে বটে; সাংস্কৃতিক সম্ভাবনা এখনো শক্তিশালী। বাঙালি সংস্কৃতির কেন্দ্র ও একমাত্র স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের উচিত এই সাংস্কৃতিক সম্ভাবনা ও নৈকট্য অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কাজে লাগানো।
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় চার রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক যতো ঘনিষ্ঠ হতে থাকবে, কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঢাকা ততোই দিল্লির চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। রাজ্য চারটির সঙ্গে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ঝালাইয়ের জন্য দুর্গাপূজার চেয়ে বড় উপলক্ষ্য আর কী হতে পারে? ফেসবুক থেকে