শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০২০, ১০:১৩ দুপুর
আপডেট : ২৩ অক্টোবর, ২০২০, ১০:১৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোহাম্মদ এ আরাফাত: ‘ধর্ষণ, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন ও দ্বিচারিতা’

মোহাম্মদ এ আরাফাত: আওয়ামী লীগের কেউ অপরাধ করলেও আমি স্ট্যাটাস দিয়েছি। আমি এবং আমরা সুবর্ণচর, সিলেট ও নোয়াখালীর ঘটনার ধর্ষক পশুদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি। ধর্ষকদের ছবি সব পোস্ট দিয়েছি। এগুলো আপনাদের চোখে পড়ে না? স্ক্রল করে দেখে নিয়েন। নারী নিপীড়নের প্রশ্নে আমাদের কোনো রাজনৈতিক অন্ধ্যত্ব নেই। আমরা সকল ধর্ষকের বিরুদ্ধে, সকল নিপীড়িত নারীর পক্ষে। অথচ বিএনপি-জামাতিরা একেবারেই উল্টো। ওরা বেছে বেছে শুধু ছাত্রলীগের কেউ অপরাধ করলে বিচার চায়, নিজেদেরটার কোনো খবর থাকে না। আমরা বিচার চাওয়ার ক্ষেত্রে সেই রকম বৈষম্য করি না।

আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে অপরাধ করে কেউ পার পায় না, স্বল্প সময়েই অপরাধীরা আইনের আওতায় চলে আসে। সাহেদ, সাবরিনা, পাপিয়া, জি কে শামীম, পাপুল, মিঠু, সিলেট- নোয়াখালির ঘটনার অপরাধীরা, বাদল, দেলোয়ার এরা কেউ ছাড় পায়নি। কোনো এমপি সাহেবও অপরাধ করলে আইনের আওতায় চলে আসবেন। কিন্তু ধর্ষণের আন্দোলনের নামে যে ভন্ডামি হয়েছে, তার কি করবেন? যারা নিজেরাই ধর্ষক মামলার আসামি তাদের অনেকেই ছিলো সেই আন্দোলনে। এটা কি হেপোক্রেসি নয়? আমরা সকল নিপীড়িত নারীর পক্ষে এবং সকল ধর্ষক ও তার সহযোগীদের বিপক্ষে। কিন্তু ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনকারীরা কিছু ধর্ষণের বিপক্ষে আর কিছু ধর্ষকের পক্ষে। এটা কেমন আন্দোলন? সেই প্রশ্নে আপনাদের স্ট্যাটাস কই?

অন্যায় করলে বিচার হবে। সে যেই হোক। ধর্ষণ প্রশ্নে আমার অবস্থান পরিষ্কার। আমি সবসময় বলেছি, কে কোন দল করলো সেটা আমি দেখিনা। যারাই নারী নিপীড়ন, ধর্ষণের মতো অপরাধ করবে তাদেরই বিচার হতে হবে। সে যেই হোক, ছাত্রলীগের কেউ হোক, এমপি হোক বা বাম হোক বা ছাত্র অধিকার পরিষদ হোক। ধর্ষণের বিচার চাওয়ার ক্ষেত্রে আমি রাজনীতি, দল এগুলো দেখি না। কিন্তু বিএনপি-জামাত-ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাম এরা শুধু আওয়ামী লীগেরটা দেখে, নিজেদেরটা দেখে না এবং খুবই আশ্চর্যের বিষয় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের কেউ অপরাধ করলে সাথে সাথে গ্রেফতার হয়, রিমান্ডে যায়। ধর্ষক অধিকার পরিষদের কেউ ধর্ষণ করলে, ভুক্তভোগীকে অনশন করতে হয় আসামি গ্রেফতারের জন্য, তাও গ্রেফতার হয় না।

ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের শতভাগ পক্ষে আমি। কিন্তু যখন শুনি যে শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তিতুমীর কলেজের ছাত্র সাজ্জাদ গাজী নিজেই বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হয়েছে, কলেজ ছাত্রীটিকে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে ধরা খেয়েছে। তখন কেমন লাগে? তাই আন্দোলনের নামে ভন্ডামি আর হেপোক্রেসির বিপক্ষে আমি। ধর্ষক নিজে এবং ধর্ষণের আসামি নিজেরাই যদি এই আন্দোলন করে তাহলে আমি সেই আন্দোলন কে ঘৃণা জানাই। *যারা সকল ধর্ষিত/নিপীড়িত নারীর পাশে দাঁড়ায় না, *যারা সকল ধর্ষকের বিচার চায় না, *যারা বেছে বেছে কিছু ধর্ষণের অভিযোগের বিচার চায়, আর কিছু অভিযোগের বিচার চায় না, অর্থাৎ, যারা ধর্ষক বিরোধী আন্দোলনের নামে দ্বিচারিতা করে, তাদের আমি ধিক্কার জানাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়