আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্টকৃত বঙ্গবন্ধুর বিকৃত চেহারার ভাস্কর্য নিয়ে চলছে লেখালেখি। নানান জনের নানান মতামত নিয়ে গরম ফেসবুকে পোষ্ট হওয়ার আধাঘণ্টার মধ্যে ভাইরাল হয়েছে ছবিটি ।
[৩] জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিকৃত চেহারার ভাস্কর্য পরিবর্তনের দাবী জানিয়ে গোপালগঞ্জে কমরত চ্যানেলআই/মানবজমিন ও আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সাংবাদিক আসাদুজ্জমান বাবুল তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা, হাজার বছরের সবশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল একবার। তখোন আমার বয়স ৮ থেকে ৯ বছর। জাতিরপিতা যেদিন গাজী লঞ্চে করে জন্মভুমি জেলা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এসেছিলেন সেই দিনই মহাননেতা জাতিরপিতাকে এক নজর দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার। পায়ে হেটে ও নৌকায় চড়ে হাজারো মানুষের ভীড় ভেংগে দেখেছিলাম জাতিরপিতাকে। হাত নেড়ে মানুষের ভালোবাসার জবাব দিয়েছিলেন জাতিরপিতা। সে কথা মনে পড়ে আজও। জাতিরপিতার সেই দেহ এবং চেহারার কোনো মিল নেই এই ভাস্কর্যটিতে।
[৪] গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর নামাঙ্কিত বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ক্যাম্পাসে একাডেমিক ভবনের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর বিকৃত চেহারার ভাস্কর্যটি পরিবর্তনের দাবী আমাদের দীঘদিনের। এ নিয়ে আমরা গোপালগঞ্জবাসী অনেকবারই বিভিন্ন জাতীয়-আঞ্চলিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখিও করেছি। কিন্ত আমাদের দারি পুরোন হয়নি আজও। আমাদের প্রাণের দাবি অনন্ত পক্ষে জাতিরপিতার জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের এ দাবি নিশ্চয়ই পুরোন করবেন আপনি। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের চেয়ার মো, শফিকুর রহমান চৌধুরী তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, সবিনয় নিবেদন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেমন ছিলেন তা' আপনাকে বলা মায়ের কাছে মামাবাড়ির গল্প শোনানোর মত। আর আমি জাতির পিতাকে
[৫] কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ভিডিও, স্থিরচিত্র, তাঁর জীবনীগ্রন্থ ইত্যাদি পড়ে আমার মনে হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন সিংহপুরুষ, বিশাল হৃদয়ের অধিকারী, ভরাটগলা, ঋজু ভঙ্গিমার একজন বিশাল মানুষ।
[৬] কিন্তু গোপালগঞ্জ সদরে তাঁর নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভাস্কর্যটি কোনভাবেই তাঁর প্রকৃত চরিত্রের সাথে যায় না। তাই আপনার কাছে সবিনয় অনুরোধ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে অন্তত তাঁর ভাস্কর্যটি পরিবর্তন করে সঠিক ভাস্কর্যটি আপনি বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ক্যাম্পাসে প্রতিস্থাপন করতে নির্দেশ দেবেন। গোপালগঞ্জবাসীর দাবীর সঙ্গেঁ একমত পোষন করে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা রাত পৌনে ১১টার দিকে আমাদের এ প্রতিনিধিকে বলেছেন, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর নামাঙ্কিত বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ক্যাম্পাসে একাডেমিক ভবনের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর বিকৃত চেহারার ভাস্কর্যটি আমার নজরে এসেছে। অফিসিয়ালভাবে ছাড়াও আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের বলবো অচিরেই বিকৃত চেহারার ভাস্কর্যটি পরিবর্তন করে ওই একই জায়গায় জাতিরপিতার প্রকৃত চেহারার ভাস্কর্য নির্মাণ করবেন।