রাশিদুল ইসলাম : [২] লাদাখ সীমান্তে একদিকে যখন চীন ও ভারত সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র বৃদ্ধি করছে তখন সর্বশেষ গত ১২ অক্টোবর দুই দেশের সেনা কর্মকর্তাদের বৈঠকে বেইজিং নয়াদিল্লির কাছে উত্তেজন প্রশমনে একটি প্রস্তাব দেয়। ভারতীয় অনলাইন মিডিয়া দি প্রিন্ট এ খবর দিয়ে বলছে নয়াদিল্লি চীনের এ প্রস্তাব গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করছে তবে এ সম্পর্কে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
[৩] ভারত সফরে খুব শীঘ্রই আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার। এর আগেও পম্পেও বলেছেন চীনের সঙ্গে বিরোধ নিরসনে ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে চায়।
[৪] আগামী শীতের প্রস্তুতি হিসেবে চীন ও ভারত লাদাখ সীমানে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। চীনা প্রস্তাবে যদি ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হয় তাহলে তা নাকচ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যদিও ওই সীমান্তে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখার জন্যে দুটি দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
[৫] নয়াদিল্লি বলছে চীনের প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে।
[৬] তবে চীন ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে এপর্যন্ত ৮ দফা বৈঠক বসেছে কিন্তু লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে কোনো দফারফা হয়নি।
[৭] ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত সপ্তাহে জানান দুই দেশ সীমান্ত বিরোধ নিরসনে কাজ করছে এবং তা কিছুটা গোপনীয় বটে।
[৮] একই সঙ্গে আগামী শীতের পর লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি চলছে এবং ওই সীমান্তে স্থায়ী সেনা মোতায়েনের কথাই ভাবা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :