খান আসাদ: আন্দোলনটা আধিপত্যকারী পৌরুষ (হেজিমোনিক ম্যাস্কুলিনিটি) এর বিরুদ্ধে। আন্দোলনটা পিতৃতন্ত্রের বৈষম্য ও সহিংসতার বিরুদ্ধে। কী নিয়ে আন্দোলন করছেন, সেটা কর্মীদের জানান। কর্মীদের সাথে আলোচনা করেন। সমাজবিজ্ঞানের সাহায্য নিন। গুগোল ঘাঁটলেই তথ্য ও বিশ্লেষণ এখন হাতের মুঠোয়। কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার? আন্দোলনের উপর হামলার? কী নিয়ে দ্বন্দ্ব? কার সাথে কার দ্বন্দ্ব?
আপনাদের কথা শোনার জন্য আজকে বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ, নারীরা, কান পেতে আছে। আরও আছে বিপন্ন পিতা, বোনকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ ভাই। তাঁরা বুঝতে চায়, ধর্ষকামী আধিপত্যকারী পুরুষকে। এই পুরুষ তাঁদের পিতা, ভাই, পুত্র সন্তান, যারা নারীর প্রতি সহিংসতা করছে। এই পুরুষদের সমস্যা কী? কী এমন হলো যে চারিদিকে নারী ও শিশুর প্রতি নৃশংসতা?
এখন তো আপনার বলার কথা ছিল, ব্যাখ্যা দেয়ার কথা ছিল, একটি ছেলে কীভাবে আধিপত্যকারী ও ধর্ষকামী হয়ে ওঠে। ব্যাখ্যা দেয়ার কথা ছিল এই নৃশংস পৌরুষের জন্ম নেয়ার উপাখ্যান। আধিপত্যকারী পৌরুষ জন্মদেয়ার ব্যবস্থার কুশিলবদের। মানুষ যখন শুনতে আগ্রহী, আপনি এই অসাধারণ আগ্রহকে দলবাজির আলাপ দিয়ে শেষ করে দিচ্ছেন? নিজের প্রতি করুণা হয় না?
কবিতা লেখা হোক। গল্প শোনা হোক। গান গাওয়া হোক। আয়োজন হোক নাটকের। বুকে পোস্টার নিয়ে মেয়েরা সাইকেলে দলবেঁধে ঘুরুক পাড়া ও মহল্লায়। অনলাইনেও আলোচনা হোক। চিনিয়ে দিন যে ছেলেটি সহিংস, তার পৌরুষ বোধের সমস্যা কোথায়। এখনই সময় গণবিতর্কের। এখনই সময় ব্যাটাগিরি থেকে মুক্তির। নারীর গুণাবলি হিসেবে যে মূল্যবোধের কথা বলা হয়, ছেলেদের তা শেখানোর। নিজেদের ফেমিনাইজ করার অনুশীলনের। এখনই সময় আন্দোলনের ম্যাস্কুলিন চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসার। সৃজনশীল রূপান্তরের পথ রচনার। আলোকিত, নান্দনিক, মানবিক আন্দোলন চর্চার। ফেসবুক থেকে